গুজরাটের সবরমতী নদীর তীরেই বাড়ি। সেই সূত্রেই নদীর সঙ্গে আলাপ ছোটবেলা থেকে। তখন ১৫ বছর বয়স। জলে ডুবে যাচ্ছিল তার বয়সি একটি ছেলে। দ্বিধা করেনি আকাশ। নদীতে মিশে গিয়ে বাঁচিয়ে তোলে ওই ছেলেটিকে। তার পর থেকে একের পর এক অভিযান। বর্তমানে তার বয়স ২৮ বছর। দীর্ঘ ১৩ বছরে দুশোর বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছেন। জল থেকে তুলে এনেছেন কখনও ফোন, কখনও পিস্তল, কখনও সোনার মতো দামি জিনিস আবার কখনও আস্ত মানুষ। নদীই জীবন আকাশের। আকাশ দান্তানি। গুজরাটের এই যুবককে স্থানীয়দের কেউ বলেন ‘রিয়েল হিরো’, কেউ আবার বলেন ফ্রগম্যান!
আরও পড়ুন - ৮ বছর বয়সে ওভারি ক্যানসার! IVF ছাড়াই মা হল পৌলমী, কলকাতার হাসপাতালে বিরল সাফল্য
১৫ বছর বয়স থেকেই
কিশোর বয়সে ছেলেটিকে বাঁচানোর পর থেকে এক অদ্ভুত নেশা পেয়ে বসে আকাশকে। একের পর এক মানুষকে ও বহুমূল্য জিনিসকে বাঁচানোর নেশা। নেশা বলেই এর জন্য কোনও টাকা নেন না আকাশ। স্থানীয়দের কথায়, কোনও বিপদে পড়লেই আকাশই ভরসা। ফোন হোক বা ঘড়ি, মানুষ হোক বা পোষ্য, কেউ বা কিছু জলে পড়ে গেলে উদ্ধার করার জন্য সবচেয়ে প্রথমে ডাক পড়ে আকাশের।
আরও পড়ুন - ঢালাও গুণে ভরপুর দুধ-ভাত! কাদের জন্য অমৃত, কাদের জন্য বিষ? খাওয়ার আগে দেখে নিন
পুলিশেরও বড় ভরসা
শুধু এলাকার সাধারণ মানুষ নয়, পুলিশের কাছেও বড় ভরসা আকাশ। রীতিমতো অপরাধদমন শাখার দফতর থেকে তাঁর ডাক পড়ে। আমেদাবাদের বাসিন্দা আকাশের সেবার ডাক পড়েছিল পিস্তল খোঁজার জন্য। নদীর জলে পড়ে গিয়েছে। পুলিশের ডুবুরি খুঁজে খুঁজে হয়রান। আকাশ এল। ডুব দিল আর ‘জয় করল’ পিস্তল! ভাবখানা এমন যেন এ আর কী বড় ব্যাপার!
দেখুন ভিডিয়ো
সাধারণের ফ্রগম্যান বা ব্যাঙমানুষ
শুধু পুলিশের অপরাধদমন শাখায় নয়, একইভাবে তাঁর ডাক পড়ে দমকল বাহিনীর কাজে ও অপরিচিত ব্যক্তিদের বিপদে। ধাদিয়া ব্রিজের নিচে বাস আকাশের। কিন্তু মনটা মিশে গিয়েছে নদীর মধ্যেই। নদীর নাড়ি নক্ষত্র চেনা বলেই আকাশ মানেই বারবার সাফল্য। যেভাবে আকাশ আর নদী মিশে যেতে দেখা যায়, সেভাবেই আকাশ দান্তানি সবরমতীতে মিশে গিয়ে প্রাণ ফেরান মানুষের।