রেললাইন ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা ফাটল দেখতে পেয়েছিলেন এক রাজমিস্ত্রি। তাঁর তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দার্জিলিং মেল। হলদিবাড়ি এবং কাশিয়াবাড়ি স্টেশনের মাঝে ফাটল দেখতে পান দীপু রায় নামে ওই রাজমিস্ত্রির। তিনি তড়িঘড়ি বিষয়টি রেলের নজরে আনলে দ্রুততার সঙ্গে রেললাইনে ফাটল মেরামত করা হয়। রাজমিস্ত্রির এই তৎপরতার জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করে আরপিএফ।
আরও পড়ুন: পাঁশকুড়া–দিঘা স্পেশালকে নিয়মিত করা হোক, রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, কেন?
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। হলদিবাড়ি ও কাশিয়াবাড়ি স্টেশনের মাঝে রেললাইন ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন দীপু রায়। সেইসময় তাঁর নজরে পড়ে রেললাইনের ফাটল। দেরি না করে তিনি সঙ্গে সঙ্গে এক সরকারি কর্মীকে বিষয়টি জানান। পরে ওই সরকারি কর্মী রেলের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে রেলকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রেলের আধিকারিক এবং আরপিএফ কর্মীরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে যাচ্ছিল দার্জিলিং মেল। বিষয়টি নজরে আসায় দার্জিলিং মেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করে সেখান থেকে পার করানো হয়। পরে রেলের তরফে দ্রুততার সঙ্গে ফাটল মেরামত করা হয়। ফলে কোনওরকমের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, সকল ৮টার দিকে ফাটল দেখা গিয়েছে। দার্জিলিং মেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করে সেখান থেকে পার করানো হয়েছে। তিনি জানান, দীপু রায় নামে ওই রাজমিস্ত্রি হেঁটে যাওয়ার সময় ২৫/৭ ও ২৫/৮ পিলারের মাঝে রেললাইনে ফাটল দেখতে পান। তিনি তাঁর প্রতিবেশী সরকারি কর্মী অভিজিৎ রায়কে বিষয়টি জানান। পরে ওই সরকারি কর্মী রেলের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে ফাটলের কথা জানান।
যে সময় লাইনে ফাটল ধরা পড়েছিল তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান দিয়ে হলদিবাড়িগামী দার্জিলিং মেল আসার কথা ছিল। কিন্তু, ফাটল থাকায় গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রেল। এবিষয়ে তিনি রাজমিস্ত্রিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এতবড় দুর্ঘটনা রুখতে পারায় খুশি দীপু রায়।