রথযাত্রা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে এবং উদযাপন করতে ভক্তরা দিঘা জগন্নাথ মন্দিরে সমবেত হচ্ছেন সকাল থেকেই। এর আগে বৃহস্পতিবারই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, দিঘার জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারের রথযাত্রায় রথ টানতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। মমতা জানিয়ে দেন, দিঘার রথযাত্রায় জনতাকে থাকতে হবে ব্যারিকেডের ওপারেই। তাও মানুষের মধ্যে রথযাত্রা নিয়ে উদ্দীপনার খামতি নেই। পুরীতে অবশ্য ভক্তরা রথের দড়ি টানতে পারেন। রথের সামনে থাকেন লক্ষাধিক ভক্ত। তবে এই ক্ষেত্রে পুরী থেকে দিঘা আলাদা। তাও লক্ষাধিক ভক্ত এবং পর্যটক দিঘায় ভিড় জমিয়েছেন রথযাত্রায় অংশ নেবেন বলে। (আরও পড়ুন: কার্তিক মহারাজের নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের, কী দাবি অভিযোগকারীর?)
আরও পড়ুন: রথযাত্রায় জনসমুদ্র জগন্নাথধামে, পুরীতে ধরা পড়ল ৬-৭টি অবৈধ ড্রোন
এদিকে পুরীর মতো দিঘাতেও রথযাত্রা শুরুর আগে স্বর্ণঝাড়ু দিয়ে ঝাড় দেওয়া হবে রাস্তা। এবং সেই ঝাড় দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। ঠিক দুপুর আড়াইটেয় গড়াবে রথের চাকা। এর আগে অবশ্য সকাল ৯টা থেকেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরে। দুপুর ২টো থেকে আড়াইটে অভিষেক মুহূর্ত। এরপরই রথযাত্রা শুরু হবে। প্রথমে বড় দাদা বলরাম, তারপর বোন সুভদ্রা এবং সবশেষে রথে নিয়ে আসা হবে জগন্নাথদেবকে। এই রথগুলি নিমকাঠ দিয়েই তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে কয়েকদিন আগেও বেশ বিতর্ক হয়েছিল। (আরও পড়ুন: রথযাত্রা চলাকালীন গজরাজের অনিয়ন্ত্রিত ছুট, তারপর যা হল… দেখুন ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: কট্টরপন্থীদের মন পেতে ঢাকায় মন্দির ভাঙল ইউনুসের সরকার, কী বলছে ভারত?
এদিকে রথে করে বিগ্রহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হবে মাসির বাড়ি। পুরনো মন্দিরই দিঘায় জগন্নাথের মাসির বাড়ি। জগন্নাথ ঘাটের কাছে অবস্থিত এই মন্দির। নতুন মন্দির থেকে এর দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। ৭ দিন মাসির বাড়িতে থাকবেন জগন্নাথদেব। তবে জগন্নাথধাম কালচারাল সেন্টারে এই ৭ দিন থাকবে জগন্নাথদেবের পাথরের বিগ্রহ। এই আবহে আগামী ৭ দিন দুই জায়গাতেই বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। উলটো রথে আবার মাসির বাড়ি থেকে ফিরে আসবেন জগন্নাথদেব। এদিকে জগন্নাথদেবের মাসির বাড়িতে থাকছে ৫৬ ভোগ। তাতে থাকবে মিষ্টি, গজার মতো শুকনো প্রসাদ। (আরও পড়ুন: নিজেদের দোষ ঢাকতে আজব দাবি, চোখ বন্ধ করলেই মনে হয় 'র' দেখতে পায় বাংলাদেশিরা)
আরও পড়ুন: ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ-পাক-চিন, কী ছক কষছে ৩ দেশ? 'জোট' নিয়ে যা বলল ভারত
আজ থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে ছুটি। এই আবহে রথযাত্রা উপলক্ষে দিঘায় গিয়ে পৌঁছেছেন বহু মানুষ। বর্তমানে দিঘায় তিলধারণের জায়গা নেই। দিঘায় যাতে রথযাত্রায় মহাকুম্ভের মতো পদপিষ্টের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, 'রথ কিছুটা যেতে যেতে কিছুটা থামবে। মানুষ যেতে যেতে দর্শন করতে পারবে। তারা দড়িটাও স্পর্শ করতে পারবে।'