Indian Travel Industry: সম্প্রতি তিন বছর ধরে ভারত ভ্রমণের পর এক ব্রিটিশ-ভারতীয় পর্যটক ভারত সম্পর্কে নিজের হাজারও অভিযোগ জানিয়েছেন।
Ad
পর্যটক-ব্যবসায়ীর সমালোচনার ঝড় নেটমাধ্যমে
ভারতীয় পর্যটন শিল্প নিয়ে সমালোচনার ঝড়। এখন আর পর্যটকরা এসে প্রেমে পড়ছেন না দেশটির। আবর্জনা বলে কটাক্ষ করে যাচ্ছেন। পর্যটকের অপমানের পর এখন ব্যবসায়ীরাও সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না।
খ্যাতি এবং মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ভারতের পর্যটন শিল্প। উত্তরকাশীর কোটগাঁও গ্রামের একজন পর্যটন ব্যবসায়ী আনন্দ শঙ্কর সম্প্রতি এমনটাই বলেছেন।একটি এক্স পোস্টে, শঙ্কর দেশের পর্যটনের তুমুল সমালোচনা করেছেন। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পর্যটন শিল্পে কাজ করে একেবারেই ভালো অভিজ্ঞতা হয়নি বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ভারতের সুনাম কমেই যাচ্ছে, বিশেষ করে ভিয়েতনামের মতো অন্যান্য এশীয় দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে ভারত গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তিন বছর ধরে ভারত ভ্রমণের পর এক ব্রিটিশ-ভারতীয় পর্যটক ভারত সম্পর্কে নিজের হাজারও অভিযোগ জানিয়েছেন। ভারতের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। ওই পর্যটক আরও বলেছেন যে তিনি ভারত ভ্রমণ করেও, দেশটির প্রেমে পড়েননি বা আর ফিরে আসারও ইচ্ছা নেই। আর তাঁর এই পোস্টের পর পর্যটকের সঙ্গে সহমত জানিয়ে পাল্টা পোস্ট করে দেশটির পর্যটনের সমালোচনা করেছেন শঙ্কর।
ভাইরাল পোস্টে কী বলা হয়েছে
সহজ ভাষায়, ওই ব্যক্তি ভারতের পর্যটন খ্যাতি কেন হ্রাস পেয়েছে সে সম্পর্কে নিজের মতামত ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেন যে ভারত আর আগের মত পর্যটকদের আকর্ষণ করে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশটা সম্পর্কে খারাপ খবর পড়ে উৎসাহ হারান। এছাড়াও বেশি অঙ্কের বিমান ভাড়া এবং ভারতের অভ্যন্তরে ব্যয়বহুল ভ্রমণ খরচের কারণে অনেক মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্ত দেশীয় পর্যটকও বিদেশ ভ্রমণকেই বেছে নিচ্ছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে পর্যটন সরকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে, কিন্তু ভারতের এই খাতটি আটকে রয়েছে এবং উন্নতি হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।