Manmohan Singh Death: প্রয়াত হলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অন্যতম সেরা অর্থনীতিবিদ ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২বছর । এইমস সূত্রের খবর, বয়সজনিত রোগে দীর্ঘ দিন ধরেই ভুগছিলেন মনমোহন সিং। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎই নিজের বাসভবনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এইমস সূত্রে আরও জানানো হয়, জ্ঞান ফেরানোর জন্য সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিবাটেশন করা হয়েছিল। কী এই প্রক্রিয়া? কীভাবে এটি করা হয়, এই প্রক্রিয়ায় বাঁচার সম্ভাবনাই বা কতটা (What Is The CPR)? HT বাংলার সঙ্গে এই নিয়ে বিশদে কথা বললেন বিএম বিড়লা হার্ট হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ধীমান কাহালি।
আরও পড়ুন - ‘লিভারের রোগ থাকলে বুঝে খান প্যারাসিটামল..’ HT বাংলায় পরামর্শ মেডিসিন বিশেষজ্ঞের
কীভাবে করা উচিত সিপিআর?
- সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) করতে প্রথমে দেখতে হবে ব্যক্তির হৃৎপিণ্ড সচল রয়েছে কি না।
- না থাকলে তবেই সিপিআর শুরু করতে হবে। এর জন্য দুটি হাত এক করে ব্যক্তির বুকের ঠিক মাঝখানে রাখতে হবে। এক হাতের আঙুলের ফাঁকে অন্য হাতের আঙুল ঢুকিয়ে নিতে হবে।
- এবার বুকের উপর লম্বালম্বিভাবে বারবার চাপ দিতে হবে।
- ধীমানবাবুর কথায়, প্রতি মিনিটে ১০০ থেকে ১২০ বার বুক চাপ দেওয়া উচিত। তবেই সেই সিপিআর কার্যকরী হবে। চাপ যথেষ্ট বেশি দিতে হবে। যাতে বুক ২ ইঞ্চি বা ৫ সেমি পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে যায়।
- এভাবে প্রতি ৩০ বার চাপ দেওয়ার পর একবার করে মুখ দিয়ে ওই ব্যক্তির মুখে শ্বাস দিতে হবে। এই পদ্ধতিকে মাউথ টু মাউথ ব্রিদিং বলে।
- অন্য কোনও ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত থাকলে তাঁর এই ব্রিদিং দেওয়া উচিত। ব্রিদিং বাধ্যতামূলক নয়, তবে বুকের উপর চাপ ১০০-১২০ বার হওয়া বাঞ্ছনীয়।

কতটা বাঁচার সম্ভাবনা সিপিআর প্রক্রিয়ায়?
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, সিপিআর প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশে বেঁচে ওঠার হার বলা মুশকিল। তবে বিদেশে অন্তত ১০ শতাংশ রোগীকে এভাবে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব নয়। এটা হাসপাতাল এলাকার বাইরে অর্থাৎ রাস্তাঘাট বা বাড়িতে বেঁচে ওঠা রোগীর পরিসংখ্যান। হাসপাতালে আরও বেশি সংখ্যক রোগী প্রাণ ফিরে পান সিপিআর প্রক্রিয়ায়। দেখা গিয়েছে, প্রাণ ফিরে পাওয়ার পর ৩০-৪০ বছর অনায়াসে একজন ব্যক্তি বেঁচে আছেন।
আরও পড়ুন - ‘রবীন্দ্রনাথকে ২ টাকা দেন…’ পৌষ মেলাই আশ্রমিকদের কাছে দুর্গাপুজো: শুভলক্ষ্মী
সিপিআর শেখা দরকার প্রত্য়েকের
কথায় কথায় কার্ডিয়োলজি সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার সভাপতি ধীমান কাহালি জানাচ্ছেন, ক্যালস ইনিশিয়েটিভের তরফে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করি। কার্যকরী সিপিআর না করতে পারলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আবার কার্যকরী সিপিআর না করতে পারলে মিরাকল ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। তাই ছোট থেকে বড় সকলেরই সিপিআর পদ্ধতি জানা জরুরি। জার্মানিতে যেমন সিপিআর করতে না পারলে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় না। আমাদের দেশে তাই সিপিআর ট্রেনিং আরও বেশি করে দেওয়া প্রয়োজন।