যাঁদের গড়ন পাতলা তাঁদের পেটে চর্বি জমলে প্রাথমিকভাবে অতটা বিপদজনক হিসেবে মনে করা হয় না। কিন্তু সেটা যদি পেটের অনেক গভীর অবধি চলে যায় জমতে জমতে, পেটের ভিতরের অঙ্গগুলোর আশপাশে জমাট বাঁধতে থাকে তাহেল তা অবশ্যই চিন্তার কারণ। এভাবে চর্বি জমতে থাকলে বা ভুঁড়ি হলে ব্লাড প্রেসার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে, একই সঙ্গে ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখ, কম না হওয়া, ইত্যাদির মতো রোগ হতে পারে। যাঁদের জীবনে ভীষণ স্ট্রেস, অলস জীবনযাপনে যাঁরা অভ্যস্থ, সময় মতো খাবার খান না, অনেক রাত অবধি অবধি নিয়মিত পার্টি করেন তাঁদের ভুঁড়ি হওয়ার বা পেটে চর্বি জমার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটা কিন্তু সঠিক জীবনযাপনে, নিয়ম মেনে সময় মতো খেলে অনেকটাই কমানো যায়।দেখে নিন কেন পেটে চর্বি জমে?বাসি খাবার খেলে: গরম গরম খাবার খাওয়া উচিত। রান্না করার পরই সেটা খেয়ে নেওয়া উচিত, এবং অবশ্যই সঠিক সময়ে। বাসি খাবার খেলে মেদ বাড়ে।অলস জীবনযাপন: কোনও রকম ব্যায়াম, ইত্যাদি না করলেও পেটে চর্বি জমে। প্রত্যেকদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে যোগাযোগ বা ব্যায়াম করা উচিত শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্য।সঠিক পরিমাণে প্রোটিন না খেলে: ফ্যাটি অ্যাসিড কিংবা ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে মেদ বাড়ে। তাই সকলের উচিত বেশি পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া, যেমন ডাল, আমন্ড, আখরোট, কাজুবাদাম, ইত্যাদি। সঠিক পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট , ভিটামিন এবং ফাইবার যুক্ত খবর খেলে শরীরে মেদ জমে না। একই সঙ্গে আমাদের যে খুচরো খিদে পায় সেগুলোকেও দূরে রাখে।ঘুম না হওয়া: শরীর ঠিক ভাবে কাজ করার জন্য সঠিক পরিমাণে ঘুম খুব প্রয়োজন। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে, এক একদিন এক এক সময় ঘুমালে, ঠিকঠাক ঘুম না হলে বেশি মাত্রায় খিদে পায়, শরীরের এনার্জি কমে যায়। আর এর ফলে চর্বি জমতে শুরু করে।মদ্যপান: অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান এবং ধূমপান করলে পাচনক্রিয়া ধীর গতিতে হয়, একই সঙ্গে মেদ বাড়ায়।কীভাবে ভুঁড়ি থেকে মুক্তি মিলবে ভাবছেন? দেখে নিন উপায়প্রোটিন জাতীয় খাবার খান বেশি পরিমাণে। রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন ডিমের সাদা অংশ, মাংস, স্প্রাউট, ইত্যাদি।যোগ ব্যায়াম করুন নিয়মিত।এমনই ব্যায়াম করুন যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে।কম পরিমাণে মদ খান।প্রত্যেকদিন অন্তত ৮ গ্লাস করে জল খান। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন।