Bangla Naboborsho 1432: বাংলা ও বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ঠাকুরবাড়ি। তাই বছরকার দিনে বাড়িতে রেঁধে ফেলতেই পারেন ঠাকুরবাড়ির বিশেষ পদ পাঁঠার বাংলা। ঠাকুরবাড়ির রান্না বাংলার অন্যান্য পরিচিত রান্নাবান্নার থেকে বেশ আলাদা ও অভিনব। তাই গত শতক থেকেই এই রান্নার বেশ খ্যাতি। পয়লা বৈশাখে সেই রান্নাই থাক সকলের পাতে। কবজি ডুবিয়ে খাবেন অতিথি অভ্যাগতরাও।পাঁঠার বাংলা রেসিপিউপকরণপাঁঠার মাংস- ১ কিলোগ্রামদই- ১০০ গ্রামগোটা ধনে- ২ টেবিল চামচভাজা জিরে গুঁড়ো- ১ চা চামচঘি- ২০০ গ্রামআদা বাটা- ২ চা চামচরসুন বাটা- ৩ চা চামচপেঁয়াজ বাটা- ১ কাপনুন এবং চিনি- স্বাদ অনুযায়ীকাঁচালঙ্কা- ৫-৬টিডুমো করে কাটা পেঁয়াজ- ২টিআলু- পাঁচটা প্রণালীপ্রথমে পাঁঠার মাংস ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার আলুর খোসা ছাড়িয়ে সাইজ করে কেটে নিন।অন্য দিকে একটা বড় পেঁয়াজ টুকরো টুকরো করে কেটে মিক্সারে পেস্ট করে নিন। এছাড়া মাঝারি সাইজের আরও দুটি পেঁয়াজ ডুমো ডুমো করে কেটে নিতে হবে।এবারে মিক্সারে আদা, রসুন এবং লঙ্কা আলাদা আলাদা করে পেস্ট করে নিতে হবে।অন্য একটি পাত্রে দই ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার গোটা ধনে বেশ খানিক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে সেটাও মিক্সারে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।মিক্সারে মশলা পেস্ট করার বদলে যদি শিলে বেটে নেওয়া যায়, তবে খুব ভালো হয়। এতে মশলার আসল স্বাদ বজায় থাকে।এবারে ওভেনে প্রথমে একটি কড়াই বসিয়ে তাতে ঘি গরম হতে দিন। গরম হয়ে এলে এতে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, আদা বাটা, ধনে বাটা, লঙ্কা বাটা, হলুদ এবং দই দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। কষানোর সময় পরিমাণ বুঝে নুন ও চিনি দিয়ে দিন।মশলা তেল ছাড়তে শুরু করলে এর মধ্যে ধুয়ে রাখা পাঁঠার মাংস দিয়ে ফের কষিয়ে নিন। মশলা যাতে ভালো করে মাংসে ঢুকে যায়। দরকার হলে মাঝে মাঝে সামান্য জল দিন কষানোর সময়।এবার এর মধ্যে ডুমো করে কাটা পেঁয়াজ এবং কেটে রাখা আলু দিয়ে ফের একটু কষিয়ে নিতে হবে। পেঁয়াজ ও আলু মোটামুটি মশলা কষানো হয়ে এলে এবার পুরো রান্নাটা প্রেশার কুকারে দিয়ে দিন।এবার কুকারের মুখ বন্ধ করে মাংস সিদ্ধ করে নেওয়ার পালা শুধু। মাংস সিদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা খুলে উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে ভাজা জিরে গুঁড়ো। এর পর গরম গরম পাতে ঢেলে পরিবেশন করুন পাঁঠার বাংলা।