মুম্বইয়ের বাসিন্দা, পেশায় সংবাদকর্মী, এক সন্তানের মা শ্বেতা সিংহ কালহানস। ব্যাস বর্তমানে এইটুকুই তাঁর পরিচয়। খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন তিনি। তবে এসবের মাঝে নিজের এক অন্য পরিচয়কে আড়াল করে এগিয়ে এসেছেন শ্বেতা। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রাক্তন স্ত্রী তিনি। লাইমলাইট থেকে নিজেকে হামশা দূরেই রেখেছেন শ্বেতা। বিগত কয়েক মাস ধরে যশ এবং নুসরত শিরোনামে থাকার পর প্রথমবার আনন্দবাজার পত্রিকা ডিজিটাল কাছে মুখ খুলেছেন তিনি।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা শ্বেতা সিংহ কালহানস। মুম্বই থেকে ফোনে তাঁর প্রাক্তন স্বামী এবং স্বামীর বর্তমান বান্ধবীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা ডিজিটালের কাছে সোজাসাপটা জবাব দিলেন শ্বেতা। তাঁর কথায়, তিনি নিজের মতোই আছেন। সংবাদমাধ্যমে কাজ করছেন। বহুবছর আগে তাঁর এবং যশ দাশগুপ্তের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তাঁদের দুজনের বিয়েও হয়েছিল মুম্বইতে। একটি ১০ বছরের ছেলেও আছে দুজনের।
যশ দাশগুপ্তর প্রাক্তন স্ত্রী আছেন বিষয়টা এখনও অনেকেরই অজানা। বছর তিনেক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্বেতা। যশের সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে লড়াইয়ের সময় যতটুকু। তরপরই নাকি মুম্বই ফিরে যান তিনি। এরপর টলি পাড়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

অভিনেত্রী নুসরত প্রসঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকা ডিজিটালের কাছ থেকে প্রশ্ন ছোঁড়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি নুসরতকে দেখেছি। কিন্তু চিনি না। তাই কিছু বলতে চাই না’। যশের প্রাক্তন বান্ধবী পুনম ঝা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মন্তব্য করার মতো পুনমরে চেনেন না তিনি। তবে তিনি যশকে চেনেন, জানেন। তাই, ‘যশের মেলামেশা করার একটা পদ্ধতি আছে। সেটাও জানি আমি। তবে আমার মনে হয় এ বার সময় হয়েছে! ভবিষ্যতে যশ কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করবে, তার সিদ্ধান্ত এ বার ওর নিয়ে নেওয়া উচিত’।
বিবাহবিচ্ছেদের পর যশের জন্য অনুভূতি কেমন? সেই প্রসঙ্গে শ্বেতার জবাব, যশ তাঁর ছেলের বাবা। সেই সূত্র মারফত যতটুকু যোগাযোগ রাখা সম্ভব তিনি রাখেন। ডিভোর্সের সময় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন; তাঁদের ছেলে পারস্পরিক হেফাজতের অধীনে মানুষ করবেন। যদিও যশের প্রতি ভালবাসার বিষয় বলতে গিয়ে একটু তিতিবিরক্ত সুর তাঁর কথায়, 'যশ যে দিন আমাদের পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সে দিন থেকেই ওর জন্য আমার ভালবাসা উধাও হয়ে গিয়েছে'।
ছেলে অবশ্য তাঁর মা শ্বেতার কাছে থাকে না বলে জানিয়েছেন। শ্বেতার কথায়, অতীত নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, সমস্যা কখনও শেষ হয়না। তবে এসবের মধ্যেও একার জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখেন তিনি।