সম্প্রতি দুর্গাপুর জংশন ছবিটির পরিচালক এবং প্রযোজক মধুবন্তী মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য কোনও কাজ করেননি। তিনি এবং প্রসেনজিৎ চৌধুরী এই ছবি পরিচালনা করেছেন। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও তাঁর কথাকেই সমর্থন করেছেন। এদিন সেই বিতর্কের জবাবে কী বললেন অরিন্দম?
আরও পড়ুন: আবোল তাবোলের আঁকা ব্যবহার করলেও নাম নেই শিল্পীর! ঋতুপর্ণার 'ম্যাডাম সেনগুপ্ত'র পোস্টার ঘিরে বিতর্ক
কী বলেছেন স্বস্তিকা?
এদিন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় দুর্গাপুর জংশন ছবির DOP মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়ের পোস্ট শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি মধুবন্তীকেই সমর্থন করেছেন। লেখেন, 'এই ছবির ক্লাইম্যাক্স নিয়ে তো সব থেকে বেশি কথা হচ্ছে, তাহলে আমি আবার বলতে চাই ক্লাইম্যাক্সের গোটাটা, স্ক্রিপ্ট, ডায়লগ, শট ডিভিশন সহ সবেতেই আমাদের দুজন অভিনেতাকে (স্বস্তিকা নিজে এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায়) কাজ করতে হয়েছে DOP প্রসেনজিৎ চৌধুরী এবং মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কারণ পরিচালক ঘুমাচ্ছিলেন। আর বাকি ছবিটা গোটা টিম বানিয়েছে যার মধ্যে অরিন্দম ভট্টাচার্য ছিলেন না।
কী দাবি করেছেন মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়?
মধুবন্তী এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচালককে কটাক্ষ করে লেখেন, 'দুর্গাপুর জংশন ছবির রিভিউ পড়ে আমি এক এবং একমাত্র অরিন্দম ভট্টাচার্যকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উনি এই ছবিটির প্রযোজনা করেছেন এবং আমায় আর প্রসেনজিৎকে পরিচালনার সুযোগ দিয়েছেন। আমি ওঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে উনি এতটাই অযোগ্য যে গোটা টিমকে নিরলস ভাবে দিন রাত জেগে কাজ করতে হয়েছে আধাখেচড়া স্ক্রিপ্ট নিয়ে, গল্পকে বিশ্বাস যোগ্য করে টুইস্ট এনে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ভাগ।'
আরও পড়ুন: ৪৮-এর উদযাপনে ব্লু থিমের পার্টি, বৈশাখীর জন্মদিনে তৃণমূল নেতাদের ভিড়! কুণাল-কল্যাণ সহ কে কে এলেন?
কী জবাব দিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য?
এদিন দুর্গাপুর জংশন ছবির পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠার পর তিনি মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। অরিন্দমের কথায়, 'পরিচালনা এবং ছবির প্রযোজনা নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে সেগুলো সর্বৈব ভুল। আমি আমার কেরিয়ারের গোড়া থেকে, সেই ২০১৬ সাল একাধিক পুরস্কার পেয়েছি ফিল্মফেয়ার সহ। আমাদের শিবপুর ছবিটিও একাধিক নমিনেশন, পুরস্কার পেয়েছে। এর থেকে বেশি কোনও জাস্টিফিকেশন দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না।' তিনি এদিন আরও জানান 'উক্ত ক্রুর (মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়ের) সমস্ত পেমেন্ট করে দেওয়া হয়েছে আমাদের প্রোডাকশন ম্যানেজার এবং সহকারী পরিচালক গিল্ডের মধ্যস্থতায়। যা কথা হয়েছিল সেটা আমরা ২০২৪ সালেই দিয়ে দিয়েছিলাম। বুঝতে পারছি না ২০২৫ সালে সেসব বিষয় উঠছে কেন? এসব বলার পরেও বলছি মধুবন্তী চাইলে এসে প্রোডাকশন এবং গিল্ডের সঙ্গে বসতে পারে, জানাতে পারে কোনও টাকা বকেয়া থাকলে। আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী সব টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।'