ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ চাপা স্বভাবের অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। যশ রাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে ২০১৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তানের নাম আদিরা চোপড়া। দুজনই বলিউডের নামী ব্যক্তিত্ব হয়েও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক লাইমলাইট থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন। আদিত্যর সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ কেমন রানির? সেই নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে, রানি একবার বলেছিলেন পরিচালক-প্রযোজকের প্রেমে পড়ার পিছনে কারণ কী! তিনি প্রকাশ করেছিলেন, বিনোদনের মতো ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তর্মুখী ব্যক্তি হিসেবে আদিত্যর স্বভাব তাঁকে সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে আমার প্রেমে পড়ার একমাত্র কারণ, ও খুবই প্রাইভেট পার্সন। ইন্ডাস্ট্রিতে আমি বহু বছর কাটানোর পর, ও আমার কাছে এমন এক ব্যক্তিত্ব যাঁকে আমি খুব সম্মান করি। এটা খুব কঠিন বিষয় যখন তুমি ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের এবং বাইরের সবটাই জানো। তাই, ও সেই সমস্ত অল্প ব্যক্তিত্বদের মধ্যে পড়ে, যাঁদের আমি সত্যিই সম্মান করি। মূলত কাজের ধরণ ও ব্যক্তিত্বের জন্যই এই শ্রদ্ধা। আমিও খুব প্রাইভেট ব্যক্তিত্ব, তাই আমাদের দুজনের এই বিষয়টা খুব মেলে, আমরা দুজন কোথাও না গিয়েও খুশি থাকতে পারি’।
তিনি আরো বলেন, ‘আদির ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ও যদি করণের মতো হত, আমি ওকে ভালবাসতাম না। করণ সব পার্টিতে থাকে। রোজই কিছু না কিছু করছে। কিন্তু আমি আমার পরিবারকে একসঙ্গে দেখতে চাই। আমি পরিবারকে নিয়ে থাকতে ভালবাসি। আমি খুব পরিবার কেন্দ্রিক মানুষ। আমার স্বামী বেশি কাজ করলে আমি পাগল হয়ে যেতাম; যদি ও অর্ধেক সময় স্টুডিওতে কাটাত। ভাবুন, তাঁর সিনেমার বাইরেও তার সামাজিক জীবন রয়েছে। অর্ধেক সময়, আমি তাকে দেখতে পেতাম না। আমি খুব খুশি যে ও অত্যাধিক সামাজিক ব্যক্তিত্ব নয়। কাজের শেষে ও আমার কাছে বাড়িতে ফিরে আসে’।
মূলত ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ দেখেই রানির প্রেমে পড়েছিলেন আদিত্য, যদিও নিজের অনুভূতিটা তখন বুঝে উঠতে পারেননি। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ১৯৯৫ সালে মুম্বইয়ের এক রেঁস্তোরায় রানিকে প্রথম দেখেন আদিত্য, সেখানে কোনো কথাবার্তা হয়নি দুজনের।

২০০১ সালে পায়েল খান্নাকে বিয়ে করেন আদিত্য চোপড়া, ২০০৯ সালে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর থেকেই রানি-আদিত্যর প্রেমের গুঞ্জন ডানা মেলতে শুরু করে। ২০১৪ সালের এপ্রিলে ইতালিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন রানি-আদিত্য। কেবলমাত্র দুজনের পরিবার এবং হাতেগোনা বন্ধুরাই এই বিয়ের কথা জানত। জানা যায়, এই বিয়ের অতিথি তালিকা ছিল মাত্র ১২ জন। আজ পর্যন্ত রানি-আদিত্যর বিয়ের কোনও ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। ২০১৫ সালে জন্ম হয় আদিত্য-রানির একমাত্র মেয়ে আদিরার।
রানিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘মর্দানি’ ছবিতে। শীঘ্রই ‘বান্টি অর বাবলি ২’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাঁকে।