সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশ ও বিহার পুলিশের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে। সুশান্তের মৃত্যুর পঞ্চাশ দিনের মাথাতেও এই মামলার রহস্যের জট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। আইনগত অধিকারক্ষেত্রের প্রশ্ন তুলে বিহার পুলিশকে সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করতে দিচ্ছে না মুম্বই পুলিশ, অভিযোগ বিহার পুলিশ ও প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের। তাঁদের হাতে দেওয়া হয়নি কোনওরকম নথিপত্র,এমনকি করোনা প্রোটোকল দেখিয়ে ঘরবন্দি করা হয়েছে রবিবার মুম্বই পৌঁছানো পাটনার এসপিকে। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল সুশান্তের বাবার। সোমবারের ভিডিয়ো বার্তার পর মঙ্গলবার সুশান্তের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। এর আগে সুশান্তের আইনজীবী সঞ্জয় সিংয়ের তরফেও এই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবার আবেদন জানাননো হয়েছিল। এর আগে শনিবার নীতিশ কুমার জানিয়ছিলেন, কেকে সিং পাটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি যদি চান যে সিবিআই তদন্ত করুক, তাহলে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সুপারিশ পাঠাবে বিহার সরকার। সোমবার একটি ভিডিয়ো বার্তা জারি করেন সুশান্তের বাবা।তিনি বলেন, আমি বান্দ্রা পুলিশকে বলেছিলাম ফেব্রুয়ারি মাসে বলেছিলাম ওর জীবন সংকটে রয়েছে। ও জুনের ১৪ তারিখে মারা গেল। তারপরেও আমি বলেছিলাম ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলাম,তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে। ওঁর চলে যাওয়ার ৪০ দিন পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি পাটনা পুলিশের এফআইআর দায়ের করেছি'। এফআইআরে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়াসহ তাঁর উপর মানসিক চাপ দেওয়া, ব্ল্যাকমেল, আর্থিক প্রতারণাসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন কেকে সিং।সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ এবার প্রায় নিশ্চিত। কারণ সুশান্তের মৃত্যুর প্রথম ও একমাত্র এফআইআর দায়ের হয়েছে পাটনা পুলিশের কাছে। তাই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে করানোর সুপারিশ পাঠানোর পূর্ণ অধিকার রয়েছে নীতিশ কুমার সরকারের কাছে।