মুকেশ ছাবড়া বলিউডের অন্যতম সেরা কাস্টিং ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম। তবে অনেকেই জানেন না যে, তাঁর কেরিয়ারের সাফল্যে বড় হাত রয়েছে সুনীল শেট্টির। ভারতী সিং-এর ইউটিউব চ্যানেলের একটি পডকাস্টে মুকেশ জানান, কীভাবে সুনীল তাঁকে একসময় তাঁর পুরনো অফিস ঠিক করতে সাহায্য করেছিলেন।
মুকেশ বলেন, ‘আমি যখন কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে উন্নতি করতে শুরু করি, তখন সুনীল শেট্টি, যিনি মুম্বাইয়ের অন্যতম সেরা মানুষ, তার আরাম নগরে ১৬০ নামে একটি বাংলো ছিল। তখন আমি তাঁর মেয়ে আথিয়া শেট্টিকে নিয়ে হিরো নামের একটি ছবি করছিলাম। তো উনি আমাকে বললেন, এত ছোট অফিসে কাজ করছ কেন, আরাম নগরে আমার বাংলো নিয়ে নাও। আমি বললাম, আমি অনেক চাপে আছি। তাই তিনি বললেন, চিন্তা করো না, শুধু ভালো কাজ করতে থাকো। ঐ ব্যক্তি তার ভালো কাজ কাউকে বলেন না। তিনি আমাকে আরাম নগরের অত বড় বাংলো দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ভাড়া নিয়ে চিন্তা করবে না। তুমি আমার মেয়ের জন্য এত করেছ, শুধু এই বাংলোটা নাও।’
আরও পড়ুন: বছরে ৭ কোটি রোজগার! কার চাকরি ছেড়ে শাহরুখ খানের ম্যানেজার হন পূজা দাদলানি
সেখান থেকে কাজ শুরু করি। নতুন অফিস সাজাই, নতুন লোগো তৈরি করি, অফিসের উদ্বোধন করি। আমি যখন উদ্বোধন করি, তখন রাজকুমার রাওয়ের মতো অনেক অভিনেতা এসেছিলেন। আমি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করেছি এবং একসঙ্গে সংস্থাটি তৈরি করেছি। ধীরে ধীরে আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে এখন চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং লন্ডনে আমাদের অফিস রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভালো বাবা কখনোই…’! বিস্ফোরক স্নেহাশিসের ১ম স্ত্রী, কী লিখলেন সৌরভের পুরনো বউদি
আথিয়ার প্রথম সিনেমা
আথিয়া ২০১৫ সালে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলির বিপরীতে নিখিল আদভানির রোমান্টিক ড্রামা হিরো দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তারপর তিনি মুবারকা এবং মতিচুর চাকনাচুরের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি এখন ক্রিকেটার কেএল রাহুলকে বিয়ে করেছেন।
আরও পড়ুন: কম্বলের তলায় সত্যিই কি আরমান-কৃতিকার যৌনতা! বিতর্ক বাড়তে মুখ খুলল জিও সিনেমা