হিন্দি টেলিভিশনের দুনিয়ায় বেশ পরিচিত নাম তিনি। বহু টেলি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন শাইনি দোশি। শাইনির প্রথম শো ছিল সঞ্জয়লীলা বনশালির 'সরস্বতীচন্দ্র'। শাইনি তাঁর পেশাগত জীবনের থেকেও তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই চর্চায় থেকেছেন। শাইনি তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কেন তিনি অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি তাঁর বাবার সম্পর্কে যা বলেছেন তা শুনে হয়ত আপনিও অবাক হবেন।
সিদ্ধার্থ কাননকে সাক্ষাৎকারে শাইনি দোশি বলেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তথ্য ফাঁস করেন। সাক্ষাৎকারে শাইনি বলেন, ‘আমার মা চেয়েছিলেন আমি অভিনেত্রী হই যদিও আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন অনেক আগেই। এরপর আমাদের দেখাশোনা করার মতো আর কেউ ছিল না। আমি আমার পরিবারের পুত্র সন্তান (পুরুষের মতো আর্থিক দায়িত্ব নিয়েছিলাম) হতে চেয়েছিলাম। বাড়ির ছেলের মতো করেই আমাকে সবকিছু দেখাশোনা করতে হতো। আমি যখন মুম্বই আসি, তখন আমার অ্যাকাউন্টে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ছিল। আমি জানতাম না আমি কীভাবে বাঁচব, কীভাবে কাজ করব। এরপর এইডসের জন্য সচেতনতা মূলক একটি বিজ্ঞাপনে আহমেদাবাদে মডেলিং করি।’
শাইনি আরও বলেন, ‘আমি এক রক্ষণশীল গুজরাটি পরিবার থেকে এসেছি। আমাদের পরিবারে অভিনেতাদের ছোট করে দেখা হয়। আমাদের পরিবারে এমন অনেক লোক ছিলেন যাঁরা আমাকে বলতেন যে ও যদি অভিনেতা হয় তাহলে ও পতিতা। শুধু তাই নয়, ওঁরা বলতেন, ওঁর মা তাঁকে অভিনয় করাচ্ছেন। ও যদি মডেলিং করে, তাহলে ওকে অবশ্যই পতিতা হতে হবে। কিন্তু আমার প্রথম শো যখন এলো, তখন ওদের মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি এমন লোকদের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি যাঁরা একসময় আমার মায়ের সঙ্গে কখনও ঠিকমতো কথাও বলেনি।’

বাবা-মায়ের ঝগড়া নিয়েও মুখ খোলেন শাইনি
সাক্ষাৎকারে শাইনি বলেন, ‘যখনই আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো, সে সময় বাবা মাকে বলতেন, রাত ৩টের সময় মেয়েকে কোথায় নিয়ে যাও, ব্যবসা করাতে নিয়ে যাও? ওঁর মুখের ভাষ খুবই ঘৃণ্য ছিল।’
শাইনি জানান যে তাঁর বাবা তার বন্ধুদের সঙ্গে অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছিলেন। সেখানেই পড়ে যান তিনি। মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল, যার কারণে তিনি মারা যান। বাবার কাছ থেকে এত খারাপ কথা শোনা সত্ত্বেও বাবাকে মৃত্যুর পর আমিই কাঁধ, মুখাগ্নি করেছিলাম।
প্রেমে প্রতারিত হন শাইনি
শুধু পরিবারেই নয়, প্রেমেও প্রতারিত হয়েছেন শাইনি। তিনি জানান, বিয়ের আগে একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল। তার সাথে শাইনির সাত বছরের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু ছেলেটি তার সাথে প্রতারণা করেছিল। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই যুবকের। এরপর একদিন তাঁদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। যে কারণে তিনি ডিপ্রেশনেও চলে গিয়েছিলেন। দেড় বছর ধরে মন খারাপ ছিল। পরে এক বন্ধু তাঁর কাউন্সিলিং করেন, এরপর ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হতে থাকেন।