পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেরদিন, ২৩ এপ্রিল। অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন রিষড়ার বাসিন্দা তথা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম সাউ। এরপর তিন সপ্তাহ চলে গেল। আজ অবশেষে ভারতের হাতে তাঁকে তুলে দিল পাক রেঞ্জার্স। তাঁর ছবি প্রকাশ করে বিএসএফ জানিয়েছে, পূর্ণম দেশে ফিরেছেন। এর আগে ভারতের বহু অনুরোধ সত্ত্বেও পূর্ণমকে ছাড়তে চাইছিল না পাকিস্তান। এমনকী বৈঠকেও হাজির হচ্ছিল না পাকিস্তান। এরই মাঝে পূর্ণমের স্ত্রী রজনী নিজে পাঠানকোট গিয়েছিলেন। (আও পড়ুন: গণতন্ত্রের পাঠে 'বদহজম', ভারতের বিরুদ্ধে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: লস্কর জঙ্গির সঙ্গে বাংলাদেশি উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, কী বলছে আমেরিকা?
উল্লেখ্য, পূর্ণম কুমার সাউ পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়ার বাসিন্দা। গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে সীমান্তের কাছে কৃষকদের সাহায্য করার সময় অসাবধানতাবশত পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, পাক-ভারতের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত একটি ছোট স্তম্ভ দ্বারা চিহ্নিত রয়েছে। নতুন মোতায়েন হওয়া কোনও জওয়নের জন্যে তা শনাক্ত করা কঠিন হতে পারে। পাকিস্তানি নাগরিক ও নিরাপত্তারক্ষীরা অসাবধানতাবশত অনেক সময়ই আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। মানবিক কারণে ভারত পর্যায়ক্রমে তাদের ফেরতও পাঠিয়ে দেয়।' প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। তার মাঝে ভারত-পাক সীমান্তে শুরু হয়েছিল সংঘর্ষ। এই আবহে পিকে সাউকে নিজেদের হেফাজতে রেখে ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। (আরও পড়ুন: পারমাণবিক বিকিরণ নিয়ে খোঁজ করতে কি মার্কিন দল পাকিস্তানে গেছে? কী বলল আমেরিকা)
আরও পড়ুন: ফের ভারত-পাক সমঝোতা নিয়ে নিজের পিঠ চাপড়ালেন ট্রাম্প, 'আজব বক্তব্য' ওয়াশিংটনেরও
আরও পড়ুন: সংঘর্ষবিরতির পর পাকিস্তানের ওপর ক্ষুব্ধ 'বন্ধু' চিন? বড় দাবি রিপোর্টে
তবে গত ৩ মে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের এক জওয়ান ভারতের হাতে ধা পড়ে রাজস্থানে। জানা যায়, রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের আওতায় ওই পাক রেঞ্জার্সকে আটক করে রাখা হয়। এই সবের মাঝে গত ৭ মে ভারতের তরফ থেকে অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করা হয়। যার পরপরই পাকিস্তান পালটা হামলা শানায়। এই সংঘর্ষের মাঝে পূর্ণ সাউকে নিয়ে সেভাবে আর খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে কয়েকদিন আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা হয়। এরই মাঝে গতকালই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সতীশ দুবে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেন, পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনা হবে অভিনন্দনের মতোই। আর সেই দাবির একদিন পরই পূর্ণমকে বিএসএফের হাতে তুলে দিল পাকিস্তান।