ভিন রাজ্যে ফের হেনস্থার শিকার হলেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। এবার বাংলাদেশি সন্দেহে আটকে রাখা হল কোচবিহারের শিশু সহ পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিককে। অভিযোগ, ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্যান্য নথি দেখানো সত্বেও তাঁদের মুক্তি দেয়নি পুলিশ। ১০ দিন ধরে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারগুলি। এবিষয়ে কোচবিহারের জেলা শাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন আটক থাকা এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাবা। (আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের পাঠে 'বদহজম', ভারতের বিরুদ্ধে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: ওড়িশায় আক্রান্ত বাংলার শ্রমিকরা, উদ্বিগ্ন ইউসুফ, হস্তক্ষেপ চেয়ে শাহকে চিঠি
মোট দুটি পরিবারের ৫ সদস্য রাজস্থান পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজস্থানের শিকর জেলার পাটান থানা এলাকায় ইটভাটার কাজে গিয়েছিলেন। গত ৪ মে সেখান থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর একটি বাড়িতে আটকে রাখে। শ্রমিকরা ভারতীয় হওয়ার পর্যাপ্ত নথিপত্র দেখালেও তাঁদের ছাড়া হয়নি বলে অভিযোগ। একটি বাড়িতে আটকে রেখে তাঁদের ফোন রাখতে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান পুলিশের হাতে আটক থাকা ৫ জনের মধ্যে তিনজন কোচবিহার-২ ব্লকের টাকাগছ গ্রাম পঞ্চয়েতের কারিশাল গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দু’জন দিনহাটা-২ ব্লকের চৌধুরীহাট পঞ্চায়েতের পূর্ব জায়গীর বালাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: সংঘর্ষবিরতির পর পাকিস্তানের ওপর ক্ষুব্ধ 'বন্ধু' চিন? বড় দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ফের ভারত-পাক সমঝোতা নিয়ে নিজের পিঠ চাপড়ালেন ট্রাম্প, 'আজব বক্তব্য' ওয়াশিংটনেরও
আটক থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের একজন ওবায়েদুল খন্দকার জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী পাটান থানার অধীনে একটি ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। গত ৪ মে ইটভাটা থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তিনি আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য নথিপত্র দেখান। তারপরেও পুলিশ তাঁদের ছাড়েনি। বলা হচ্ছে, ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, কোনওভাবেই পুলিশ তাঁদের ছাড়ছে না। সঙ্গে শুধু মোবাইল ফোন রাখতে দিয়েছে। তাই তিনি বাড়িতে ফোন করে আটকে রাখার বিষয়টি জানাতে পেরেছেন। ১০দিন ধরে সেখানেই তাঁরা আটকে রয়েছেন। তাঁরা এখন চাইছেন কোচবিহারের জেলা প্রশাসন তাঁদের ছড়ানোর ব্যবস্থা করুক। এ বিষয়ে কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিস সুপারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তিনি এবিষয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।