২০১৯ সাল থেকে শ্রদ্ধা কাপুর এবং ফটোগ্রাফার রোহন শ্রেষ্ঠার 'সম্পর্ক' ঘিরে উত্তাল বলিপাড়া। বি-টাউনের অলিতে গলিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি নাকি সাতপাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন এই জুটি। এ ব্যাপারে বলি-সুন্দরীর মাসি অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলহাপুরী এবং তুতো ভাই প্রিয়াঙ্ক শর্মাও মন্তব্য করেছেন। এবার শ্রদ্ধার বিয়ের ব্যাপারে প্রথমবারের জন্য মুখ খুললেন অভিনেত্রীর বাবা তথা জনপ্রিয় বলি-অভিনেতা শক্তি কাপুর।
সদ্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শক্তি জানিয়েছেন এখনও রোহন তাঁর কাছে শ্রদ্ধাকে বিয়ে করার ব্যাপারে কিছু জানাননি। তবে পাশাপাশি ও জানালেন যে যেদিন শ্রদ্ধা তাঁকে বলবে বিয়ের ব্যাপারে তিনি তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে যাবেন। বিন্দুমাত্র আপত্তি করবেন না শ্রদ্ধার নেওয়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে।

রোহন শ্রেষ্ঠার বিষয়েও সোজাসাপ্টা মন্তব্য করতে করেননি বলিপাড়ার এই বিখ্যাত বর্ষীয়ান অভিনেতা। সরাসরি বলেন, 'রোহন আমাদের পারিবারিক বন্ধু। ওঁর বাবার সঙ্গে আমার কয়েক দশকের বন্ধুত্ব। রোহন আমাদের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আসে তবে এখনও পর্যন্ত আমার কানে শ্রদ্ধাকে বিয়ে করার প্রস্তাব তোলেনি। তবে এটাও ঠিক যেদিন শ্রদ্ধা ওঁর বিয়ের কথা, পছন্দ করা জীবনসঙ্গীর কথা আমাকে জানাবে বিন্দুমাত্র আপত্তি করব না আমি। আর কেনই বা করব?' তবে নিজের বক্তব্যের শেষে শ্রদ্ধার বিয়ের ব্যাপারে তাঁর চিন্তাও প্রকাশ করেছেন শক্তি কাপুর। তাঁর মতে আজকাল যেভাবে দ্রুত বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা তাঁকে ভাবিয়ে তোলে মাঝেমাঝেই। শ্রদ্ধার ভবিষ্যতের কথা ভেবেও বাবা হিসেবে চিন্তা তাঁরও হয়। তাই বিয়ে করার আগে সবকিছু ভেবে, সময় নিয়ে দেখেশুনে করা উচিত বলেই মনে করেন শক্তি। তাড়াহুড়ো করে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো।
অন্যদিকে, শ্রদ্ধা এবং রোহনের সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে রোহনের বাবা রাকেশ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘যত দূর আমি জানি, ওরা কলেজ জীবন থেকে বন্ধু। দুজনেই তাঁদের পেশায় ভালো এগোচ্ছে, তাই দুজনের একসঙ্গে থাকার যে কোনও সিদ্ধান্ত পরিণত হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ওরা একে অপরকে বিয়ে করতে রাজি থাকে, আমি ওদের জন্য সব কিছু খুশি খুশি মেনে নেব। আমার অভিধানে ‘আপত্তি’ বলে কোনো শব্দ থাকবে না। আমি তোমাকে বলছি, রোহনকে আমি ‘আমার স্বপ্ন’ বলে ডাকি, খুব কমই আমি ওকে রোহন বলে ডাকি’।