সলমন খানের ভাই সোহেল খানের প্রাক্তন স্ত্রী তিনি। যদিও নেটফ্লিক্সের শো ফ্যাবিউলাস লাইফ অফ বলিউড ওয়াইভস দিয়ে ইতিমধ্যেই নিজের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন। সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে সোহেলের সঙ্গে ডেটিং ও পালিয়ে বিয়ে করা নিয়ে কথা বললেন সীমা। ‘ভাবনা এবং চাঙ্কি পাণ্ডের বাগদানে সোহেলের সঙ্গে প্রথম দেখা করেছি এবং আমাদের রোম্যান্স অনেকটা ঘুর্ণিঝড়ের মচো ছিল এবং তারপরে আমরা বিয়েও করি,’ বলেন সীমা। তবে এই বিয়েটা হয়েছিল পরিবারের অমতে। সেই প্রসঙ্গে সীমা জানান, ‘আমি আর সোহেলকে তখন একে-অপরকে ৩ মাস মতো চিনতাম। আমার বয়স ২২। বাড়ির লোকের আমার বিয়ে দেওয়ার কোনও ইচ্ছেই ছিল না। ওঁদের অন্য পরিকল্পনা ছিল আমায় নিয়ে। তাই একদিন মাঝরাতে পালিয়ে যাই।’সীমা আরও জানান, সোহেলকে সবসময় ‘সুন্দরী মেয়েরা’ ঘিরে থাকত। যা ছিল একসময় তাঁর চিন্তার কারণ। এমনকী, এই চিন্তা থেকেই আরও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিয়ের পরও একটা ভয় কাজ করত তাঁর মনে। তবে এরপর সোহেলের থেকে সরিয়ে বাচ্চাদের দিকে ফোকাস করেন। যদিও সোহেল ও সীমার সুখের সংসারে ভাঙন ধরেছে। আরবাজের পর ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন সোহেলও। ২৪ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০২২ সালের মে মাসে। ১৯৯৮ সালে প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া-র সেটে প্রথম আলাপ হয় সীমা আর সোহেলের। এরপর প্রেম আর পালিয়ে বিয়ে। তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে-- নির্বাণ আর ইওহান। ২০১৭ সালে প্রথম তাঁদের ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। এরপর নেটফ্লিক্সের শো ‘দ্য ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’-এ স্পষ্ট হয়েছিল এক ছাদের তলায় থাকেন না তাঁরা।ডিভোর্স নিয়ে সীমার বক্তব্য ছিল, ‘আমার মধ্যে একটা ক্ষত তৈরি হয়েছিল, যা ক্রমাগত আরও গভীর হচ্ছিল। তাই আমি উলটো পথেই হাঁটা বেছে নিলাম। এটাই আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আমার পরিবার, দুই সন্তান, ভাই-বোনের জন্য অন্তত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার ছিল। তোমার বোনকে বা মেয়েকে এরকম পরিস্থিতিতে দেখতে কারই বা ভালো লাগে… তুমি ক্রমাগত সেই মানুষটাকে নিয়ে চিন্তা শুরু করো।’নামের থেকে খান পদবি মুছে ফেলেছেন সীমা। এখন তিনি সীমা সচদে। খানদের কোনও অনুষ্ঠানেও তাঁকে আর দেখা যায় না। মালাইকার মতোই শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ঘুচিয়েছেন।