রবিবার ছিল সারেগামাপা ২০২২-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। গানের এই রিয়েলিটি শো নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই চলছিল মাতামাতি। অবশেষে ফলাফল সামনে এল রবিবারে। এদিন ৬ ফাইনালিস্টের মধ্যে সেরার শিরোপা জিতে নিলেন পদ্মপলাশ হালদার এবং অস্মিতা কর। দ্বিতীয় স্থানে রইলেন অ্যালবার্ট কাবো। এবং তৃতীয় স্থানে সোনিয়া গ্যাজমের।
তবে বিচারকদের দ্বারা ঘোষিত এই ফলাফল একেবারেই ভালো লাগেনি দর্শকদের একাংশের। প্রতি সিজনের মতো এবারেও উঠছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। এমনকী পরেরবার থেকে সারেগামাপা দেখবেন না বলেও দাবি তুলেছেন নেট-নাগরিকরা।
একজন লিখেছেন, ‘গুরুজির ছাত্র বলে কথা। ওকে তো জেতাবেই। একজন গোটা সিজনে কীর্তন গাইল। কোনও ভার্সেটালিটি নেই। কীভাবে তাও জিততে পারে পুরস্কার?’ আরেকজন লিখলেন, ‘অ্যালবার্ট কাবো এই সিজনের সেরা ছিল। ফের একবার ভুল সিদ্ধান্ত নিল বিচারকরা।’

প্রতিবাদের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বলে রাখা ভালো, ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার পেলেন অ্যালবার্ট কাবো। সেই কথা তুলে একজন ফেসবুকে লিখলেন, ‘ভিউয়ারস চয়েস অ্যাওয়ার্ডই তো বুঝিয়ে দিচ্ছে কে কতটা জনপ্রিয়। যতই বিচারকরা গুরুজির মন রাখতে পদ্মপলাশকে জেতাক। সারেগামাপা-র বিজেতা হওয়ার কোনও গুণ ওর নেই। একা অস্মিতাকে ট্রফি দেওয়া হলে তাও বুঝতাম।’ বলে রাখা ভালো, গুরুর আসনে বসে থাকা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর শ্রুতিনন্দনের সুযোগ্য ছাত্র পদ্মপলাশ। তাই নেটিজেনদের একাংশের দাবি, প্রথম থেকেই এই শো-তে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। শক্ত-শক্ত গান গাওয়ার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়নি। কীর্তন বাজে গাইলেও কম নম্বর দিয়ে কখনও পাঠানো হয়নি ডেঞ্জার জোনে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের ছেলে পদ্মপলাশ হালদার। এদিন স্টেজে উঠে তিনি শোনান গণেশবন্দনা। ফাইনালে প্রথম রাউন্ডের শেষেই বাদ যান উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরের বিমান বুলেট সরকার ও মালদার ঋদ্ধিমান বিশ্বাস। থেকে যান পদ্মপলাশ হালদার, সোনিয়া গজমের, আলবার্ট কাবো, ও অস্মিতা কর। তবে ফাইনালে আসা ৬ প্রতিযোগীকেই তালিম দেবেন অজয় চক্রবর্তী।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )