‘দীর্ঘকাল ধরে আড্ডা দেওয়ার অভ্যাস বুঝলেন, চট করে বদলানোর নয়…’। এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় বিভূতিভূষণের বাড়িতে হাজির হয় ২ অচেনা ব্যক্তি, নীলকণ্ঠ ও শশীধর। জমে ওঠে তিনজনের আড্ডা, আর সেই আড্ডার মধ্যেই খুলে যায় ৩টি ভিন্ন গল্পের পাতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মণিহারা, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'তারানাথ তান্ত্রিক' ও মনোজ সেনের 'শিকার' গল্প অবলম্বনে বড়পর্দায় আসতে চলেছে 'ভূত'পূর্ব'। ১১ জুন বুধবার সামনে এসেছে সেই ছবির ট্রেলার।
'ভূত'পূর্ব এক রাতের তিনটি গল্প, তিনজন কথক, আর এক অভিন্ন রহস্যের গল্প। ষাটের দশকের শেষভাগে, এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় বিভূতিভূষণের বাড়িতে হাজির হয় দুই অচেনা ব্যক্তি—নীলকণ্ঠ ও শশীধর। তিনজনের আড্ডা জমে ওঠে, আর সেই আড্ডার মধ্যেই খুলে যায় তিনটি ভিন্ন কাহিনির পাতা। প্রথম গল্প ‘মনিহারা’—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী রচনা থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে বনেদি ব্যবসায়ী ফণীভূষণ সাহা ও তার স্ত্রীর গয়নার প্রতি লোভের মধ্য দিয়ে উঠে আসে এক মর্মান্তিক পরিণতি। দ্বিতীয় গল্প ‘তারানাথ তান্ত্রিক’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি, যেখানে এক তান্ত্রিকের অলৌকিক অভিজ্ঞতা, গৃহত্যাগ ও মাতু পাগলীর দীক্ষা লাভের রহস্যময় অধ্যায় উঠে আসে। তৃতীয় গল্প ‘শিকার’, মনোজ সেনের লেখা থেকে গৃহীত, যেখানে ইন্দো-চীন যুদ্ধোত্তর সময়ে অপরাধ জগতের অন্ধকারে প্রবেশ করে এক শিক্ষিত যুবক পূর্ণেন্দু, যার গন্তব্য হয়ে ওঠে এক ভৌতিক রহস্য।
প্রতিটি গল্পই প্রথমে আলাদা মনে হলেও, শেষ পর্বে এসে তাদের মধ্যে সূক্ষ্ম এক সংযোগ প্রকাশ পায়। ভূতপূর্ব শুধুমাত্র একটি অ্যান্থোলজি নয়, এটি সময়, স্মৃতি ও অতৃপ্ত আত্মার সম্মিলনে গড়ে ওঠা এক রহস্যময় অভিজ্ঞতা। এই তিনটি গল্পই একত্রিত হয়ে তৈরি হয়েছে ‘ভূতপূর্ব’। এই নামই বলে দেয় ছবির প্রেক্ষাপট।
কাকলি ঘোষ এবং অভিনব মুখোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুজয় সরকার। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন সন্দীপ্তা সেন, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, সত্যম ভট্টাচার্য, অমৃতা চক্রবর্তী, রূপাঞ্জনা মিত্র, সপ্তর্ষি মল্লিককে। খুব শীঘ্রই সিনেমাহলে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।