পুজো মানেই ঠাকুর দেখা, আড্ডা দেওয়া, খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি প্রেমও। আর নেটপাড়া জুড়ে এখন তাঁদেরই প্রেমের গুঞ্জন, কিন্তু সত্যি তাঁরা ভালোবাসায় বাধা পড়েছেন কিনা তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি সাহেব ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা দে। তবে তাঁদের নিয়ে অনুরাগীদের আলোচনার শেষ নেই। সেই আলোচনাই খানিক উস্কে দিয়ে মহাষ্টমীর দিন জুটিতে অঞ্জলি দিলেন সাহেব-সুস্মিতা।
আরও পড়ুন: পল্লবীর নতুন মেগা 'তারে ধরি ধরি মনে করি'র প্রথম প্রোমো এল প্রকাশ্যে! নায়কের ভূমিকায় কে থাকছেন?
সিটি সিনেমার শেয়ার করা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায় মহাষ্টমীর দিন রংমিলান্তিতে ধরা দিয়েছেন সাহেব- সুস্মিতা। নায়িকার পরনে লাল রঙের শাড়ি, স্লিভলেস লাল ব্লাউজ, গলায় হালকা নেকলেস, কানে বড় ঝুমকো, হাতে বালা, কপালে ছোট্ট লাল টিপে সেজে উঠেছেন সুস্মিতা। অন্যদিকে, সাদা সুতো দিয়ে কাজ করা লাল পাঞ্জাবিতে নজর কাড়তে দেখা যায় সাহেবকে।
ওই ভিডিয়োতেই দেখা যায় মহাষ্টমীর সকালে জুটিতে তাঁরা হাজির হয়েছেন মন্ডপে। তাঁদের দু'জনের হাতেই ফুল। চোখ বন্ধ করে ভক্তি ভরে মন্ত্রচারণ করছেন সুস্মিতা। সাহেবও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ফুল নিয়ে অঞ্জলি দিচ্ছেন দেবীকে। কিছুদিন আগেই তাঁদের মেগা 'কথা'র শেষ দিনের শ্যুটিং হয়ে গিয়েছে। তাই পুজোর আগেই দারুণ মন খারাপ তাঁদের ভক্তদের। কিন্তু তারপর নায়ক-নায়িকাকে একসঙ্গে দেখে ফের উচ্ছ্বসিত তাঁদের অনুরাগীরা।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে সুস্মিতা দে-র প্রেম ভাঙার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। শুধু প্রেম বললে ভুল হবে, অনির্বাণ রায়ের সঙ্গে রীতিমতো বাগদান হয়ে গিয়েছিল সুস্মিতার। এখানেই শেষ নয়, দু'জনে একসঙ্গে থাকবেন বলে, একটি ফ্ল্যাটও কিনেছিলেন।
আরও পড়ুন: পুজোর আড্ডা দিতে দিতেই মেয়ে কাব্যকে চুল বেঁধে দিলেন মা কোয়েল! ছেলে কাব্যকে শেখালেন শাঁখ বাজানো
বন্ধু অনির্বাণ রায়ের সঙ্গে সুস্মিতার সম্পর্ক ছিল বহুদিনের। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত অনির্বাণ। সেই সূত্রেই আলাপ সুস্মিতার সঙ্গে। তাঁর ফটোশ্যুটেও বহুবার মডেল হয়ে ধরা দিয়েছিলেন সুস্মিতা। প্রায়দিনই অনির্বাণের সঙ্গে ভালোবাসা মাখা পোস্ট শেয়ার করতে দেখা যেত সুস্মিতাকে। তাঁদের সম্পর্কের বয়স ছিল প্রায় ৫ বছর।
তবে 'কথা'য় কাজ শুরুর পর পর সুস্মিতা ও সাহেবকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রটতে থাকতে। আর এই সবের মাঝেই সুস্মিতার প্রেম ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আসে। এই প্রেম ভাঙার পর একের পর এক ইঙ্গিতবাহী কথাও লেখেন অনির্বাণ রায়।