অভিনেত্রী নীলিমা আজিমের সঙ্গে বিচ্ছেদেবের পর দ্বিতীয় বিয়ে করতে প্রস্তুত ছিলেন না অভিনেতা রাজেশ খট্টর। যদিও বর্তমান স্ত্রী বন্দনা সঞ্জীনীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
বলিউড বাবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বন্দনা জানিয়েছিলেন, সহবাস করতে চেয়েছিলেন রাজেশ। বিয়ের করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না অভিনেতা। তবে ২০০৮ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে। তাঁদের একটা ছেলে আছে।
প্রায় দশ বছরের বড় রাজেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে বলিউড বাবালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আমি একা ছিলাম। আমার আগে বিয়েও হয়নি। আমার কোনো বেবিও ছিলনা। কিন্তু ও এমন একজন মানুষ যাঁর কাছে সবকিছুই ছিল’। তিনি আরো বলেন, রাজেশকে রীতিমতো বুঝিয়ে-সুঝিয়ে দ্বিতীয় বার বিয়ের জন্য রাজি করেছিলেন। রাজেশ এবং নীলিমা ১৯৯০ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিল।
যদিও বন্দনা জানিয়েছেন, নীলির সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবে লকডাউনের জন্য একে অপরের সঙ্গে অমেকদিন তাঁরা দেখা করতে পারেননি। গত বছ নীলিমা তাঁদের বাড়িতেও ঘুরে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি ইশান সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ও খুব মিষ্টি একটা ছেলে। তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বিশেষ করে যখন রাজেশ করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভরতি ছিল সেই সময়।

রাজেশের সঙ্গে বিয়ে সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলিউড বাবলকে দেওয়া পুরনো এক সাক্ষাৎকারে নীলিমা জানিয়েছেন, ‘দ্বিতীয় বিয়েটা টিকে থাকত যদি এমন কিছু ঘটনা আচমকা না ঘটত.... সেটা ছিল কঠিন, অনেকটা অসম্ভবও বটে। আমি মনে করি এটা কাজ করত যদি না এত নিয়ন্ত্রণ এবং কিছু লজিকের ওপর নজর থাকত। তবে সেটা শেষ হয়ে যায়। এটা বম্বেতে ঘটে থাকে, সমস্ত সংগ্রাম এবং সমস্ত চাপের সঙ্গে, কখনো কখনো মানুষ সম্পর্কের কাছে হেরে যায়। তবে আমার কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর এবং নতুন করে পথ চলার সুযোগ ছিল। কারণ আমার সঙ্গে আমার জীবনে দুই ছেলে রয়েছে (শাহিদ এবং ইশান)। তাঁরা আমার কাছে দুর্দান্ত অনুপ্রেরণা এবং আনন্দ এবং উৎসাহের কারণ’।