প্রখ্যাত গীতিকার এবং চিত্রনাট্যকার প্রসূন যোশী বলেছেন যে ছবির নির্মাতারা পৌরাণিক এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ছবি বানানোকে দ্রুত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে না ভেবে যদি ভালোবাসা দিয়ে, যত্ন নিয়ে, বিশুদ্ধতার সঙ্গে যদি কাজ করেন তবে কাজগুলি আরও ভালো হবে। ‘রং দে বাসন্তি’ এবং ‘তারে জমিন পার’-এর মতো জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে কাজের জন্য তিনি পরিচিত। যোশী সম্প্রতি শ্রী কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে মেগা- মিউজিক্যাল নাটক ‘রাজাধিরাজ: লাভ, লাইফ, লীলা’ -এর হাত ধরে থিয়েটারে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শ্রুতি শর্মা।
ধর্মীয় বিষয়গুলি চিত্রায়নে কতটা ঝুঁকি রয়েছে? এ প্রসঙ্গে তিনি পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আপনি যদি প্রেম এবং বিশুদ্ধতা দিয়ে শুরু করেন তবে আপনার কিছু নিয়েই ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তবে আপনি যদি কেবল বাণিজ্যিক দিক নিয়ে ভাবেন বা দ্রুত অর্থ উপার্জনের একটা মাধ্যম হিসেবে এই কাজগুলি বেছে নেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তিত হতে হবে... আমি বলব এগুলো কেবল বাণিজ্যের জন্য করবেন না, ভালোবাসার জন্য করুন।’
আরও পড়ুন: 'এটা আমাদের বাড়ির ঐতিহ্য নয়…' ভাইজি অঞ্জিনীর ছবির প্রিমিয়ারে কেন এমন বললেন বরুণ?
লেখকের মতে, ভারতীয় সভ্যতা উদযাপনের জন্য এরকম আরও গল্প নিয়ে কাজ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্ম যখন আমাদের সংস্কৃতির প্রতি হীনমন্যতা দেখায়, তখন আমি সত্যি খুব দুঃখ পাই। আমাদের গল্প এবং ধর্মগ্রন্থগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতি উদযাপন করার মতো। তাই আমি চাই দর্শকরা যেন এই নাটকটি দেখেন। তাঁরা দেখলেই বুঝতে পারবেন এটি একটি উদযাপন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাকে সচেতন হতে হবে। ভগবান কৃষ্ণকে কেবল তুলে ধরলেই চলবে না। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাবও রাখতে হবে। 'রাজাধিরাজ: লাভ, লাইফ, লীলা' ধনরাজ নাথওয়ানির ধারণার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এবং তাঁর স্ত্রী ভূমি নাথওয়ানি এই কাজের নির্বাহী প্রযোজক হিসাবে কাজ করেছেন।'
আরও পড়ুন: ইমার্জেন্সির মুক্তি জটের মাঝেই মুম্বইয়ের বাড়ি বেচলেন কঙ্গনা, টাকার দরকার BJP সাংসদের?
তিনি জানান যে, তিনি চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করতে উত্তেজিত এবং নার্ভাস উভয়ই ছিলেন কারণ তিনি ধনরাজ নাথওয়ানি এবং তাঁর পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গির সঠিক রূপদান করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন, কারণ ওঁরা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের একনিষ্ঠ অনুসারী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ধনরাজ নাথওয়ানি এবং তাঁর পরিবার কৃষ্ণভক্ত। তাঁরা যখন এই কাজটার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তখন আমি দ্বিধায় পড়েছিলাম, এই কাজটির বিষয়ে তাঁরা যা অনুভব করেন, তা আমি কি সঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব? এই বিষয়টা আমাকে ভাবিয়ে ছিল। এই বিষয় সম্পর্কে চিন্তা করার জন্য আমি একটু সময় নিয়েছিলাম।'
জোশী জানান যে, তিনি নাটকটি নিয়ে এক বছর ধরে কাজ করেছিলেন এবং তাঁর গবেষণার অংশ হিসাবে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে নানা তথ্য পেতে পণ্ডিতদের সঙ্গেও দেখা করতেন।
বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী শচীন-জিগার ‘রাজাধিরাজ: প্রেম, জীবন, লীলা’-এর জন্য ২০টি মৌলিক গানও রচনা করেছেন।