দিলীপ কুমার এবং মধুবালার সম্পর্কের কথা সকলের জানা। ১৯৫১ সালে তাঁরা যখন তারানা ছবির সেটে প্রথমবারের জন্য মুখোমুখি হন তখনই একে অন্যকে মন দিয়ে বসেন। এরপর পরিচালক কে আসিফ তাঁদের দুজনকে সেলিম এবং আনারকলি হিসেবে তাঁর পরবর্তী ছবি মুঘলে আজমে নেন। কিন্তু দিলীপের মনে হয় যে আসিফের উদ্দেশ্য মোটেই সুবিধার ছিল না যখন তিনি এই ছবির পরিচালনা করছিলেন। কী জানিয়েছিলেন তিনি সেই বিষয়ে?
আরও পড়ুন: কার্ল মার্ক্স-লেনিনের মতো কৃষ্ণকে দেখতে চান নচিকেতা! বললেন, 'আমি বামপন্থী ছিলাম, আজও আছি...'
কী ঘটেছে?
দিলীপ কুমার তাঁর আত্মজীবনীতে এই ছবির ঘোষণার কথা জানিয়েছেন। সেখানেই লেখেন আসিফ তাঁদের অর্থাৎ তাঁর এবং মধুবালার সম্পর্কে নাক গলানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেন। এমনকি অভিনেত্রীকে তিনিই বুদ্ধি দিয়েছিলেন যাতে কীভাবে তিনি দিলীপ কুমারকে পটাতে পারেন।
দিলীপ কুমার তাঁর আত্মজীবনীতে লেখেন ১৯৫০ এর দশকে তাঁকে এবং মধুবালাকে নিয়ে নানা রকম চর্চা শোনা যেত। আর সেই জন্যই মুঘলে আজম ছবির ঘোষণা অত সাড়া ফেলেছিল। দিলীপ কুমার লেখেন, ' আসিফ জানত মধু আমাকে নিয়ে কী ফিল করে। মধুবালা নিজেই ওকে ওদের একটি কথোপকথনে জানিয়েছিল। আর আসিফ জানত আমি মানুষ হিসেবে কেমন, আমি কীভাবে ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনে সিদ্ধান্ত নিই। ও মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিল। এবং অনেক দূর পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে নাক গলায়, মধুবালাকে বুদ্ধি দেয় কী করে আমাকে কাবু করা যাবে সেটা নিয়ে। আসিফ ওকে বুদ্ধি দিয়েছিল যে এমন সম্মানীয়, নীতিপরায়ন একজন পাঠানের থেকে তাঁর প্রতিশ্রুতি পাওয়ার এক মাত্র পথ হচ্ছে নীতি, আদর্শ। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে কাছে আনা।'
দিলীপ কুমার এও লেখেন যে তিনি জানতেন আসিফ কেন এমনটা করছেন। অন্য কোনও পরিচালক হলেও এক জিনিস করত কারণ তিনি তাঁর ছবিতে এমন দুজন নিয়েছেন যাঁরা একে অন্যকে পছন্দ করেন। তাঁদের সেই কেমিস্ট্রি আরও মাখোমাখো করে পর্দায় তুলে ধরার জন্য আসিফ এই কাণ্ড স্বার্থপরের মতো করেছিলেন বলেই দিলীপ কুমার তাঁর বইতে লিখে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুখে বাঁদরের মুখোশ, তুফানের পর এবার তাণ্ডব করতে আসছেন শাকিব! সঙ্গী কে?
মধুবালা এবং দিলীপ কুমার যখন দূরে যাচ্ছেন একে অন্যের থেকে, দূরত্ব বাড়ছে দুজনের সম্পর্ক ভাঙছে সেই সময়ও নাকি মুঘলে আজমের পরিচালক সেটা ঠিক করার চেষ্টা করেছিলেন।
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতীয় ছবির ইতিহাসে মুঘলে আজমকে অন্যতম কালজয়ী ছবি মনে করা হয়। এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীন সম্পর্ক ভাঙে মধুবালা এবং দিলীপ কুমারের।