আরজি কর কাণ্ডের পর বারংবার বিচার চেয়ে সরব হয়েছেন মীর। ক্রমাগত পোস্ট লিখে গিয়েছেন। পথে নেমেছেন। সম্প্রতি ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের গণ কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই এবার মেয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কী জানালেন তিনি?
আরও পড়ুন: 'সামনে দেখলে থুতু ছেটাবেন', আরজি করের বিচার চেয়ে পথে নেমে কাদের নিশানা করলেন মীর?
মীর কী জানালেন এদিন তাঁর মেয়েকে নিয়ে?
মীর এদিন কথা প্রসঙ্গে জানান তাঁর মেয়ে গ্র্যাজুয়েশন করতে দিল্লি গিয়েছে। তিনি মেয়ে যখন প্রথম সেখানে যায় বারবার বোঝাতেন যে শহরটা দিল্লি, কলকাতার মতো ওটা মেয়েদের জন্য অত নিরাপদ নয়। কিন্তু এবার আরজি কর কাণ্ডের পর তাঁকে রীতিমত মেয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।
এদিন মীর সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'আমার কন্যা, এখানে কয়েক মাস থেকে গতকালই পড়াশোনা করতে দিল্লি চলে গেল। অদ্ভুত লাগে, আজ থেকে ৩ বছর আগে যখন গ্র্যাজুয়েশনের পড়াশোনা শুরু করতে দিল্লি গিয়েছিল, আমরা বারবার ওকে সাবধান করেছিলাম যে ওখানে কিন্তু যখন তখন সিনেমা দেখতে চলে যাবে না। শহরটা কিন্তু দিল্লি, কলকাতা নয়। যার তার সঙ্গে ঘুরতে চলে যাবে না। শহরটা কিন্তু দিল্লি, কলকাতা নয়। যেখানে সেখানে আড্ডা মারতে মারতে দেরি করবে না, শহরটা কিন্তু দিল্লি, কলকাতা নয়। আমাকে এবার আমার মেয়ে প্রশ্ন করেছে, তুমি এবার কী বলবে? আমি কোনও উত্তর দিতে পারিনি।'
আরও পড়ুন: টলিউডের ওমেন্স ফোরাম আসলে 'আইওয়াশ'? ক্ষোভ উগরে শ্রীলেখা কেন বললেন, 'নাটক যত'?
অন্যান্য বিষয়ে কী জানিয়েছেন মীর?
তিনি এদিন বলেন, 'যাঁরা এই আন্দোলনকে হুজুগ বলে মনে করছেন, বা ছোট করছেন এবার তাঁদের সামনে দেখলেই থুতু ছেটাবেন।, আমার বেশ কিছু শিল্পী বন্ধু যাঁরা সিনেমা টেলিভিশনে কাজ করেন, তাঁদের থেকে সাধারণ মানুষ জবাব চাইছেন, কিন্তু তাঁরা নীরব। জবাব দিতে পারছে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত তাঁদের টিকি অন্য কোথাও বাঁধা। আর সেই টিকির জোর আছে। কিন্তু জনগণ কেন তাঁদের প্রতি এই জনরোষ দেখাচ্ছেন সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। যাঁদের টিকি অন্য কোথাও বাঁধা তাঁদের ছেড়ে দিন। ওদের ট্রোল করার বদলে নিজের মনে এটা ঢুকিয়ে নিন যে এই সমাজের আপনার পালন করার জন্য অনেক দায়িত্ব আছে।' আরও জানান, 'এই আন্দোলনের অনেকটা ইতিবাচক দিক আছে। যাঁদের কোনও মেরুদণ্ড ছিল না, অবশেষে তাঁদের সেই মেরুদণ্ড দেখা হচ্ছে। আবার যাঁদের মেরুদণ্ড আছে বলে বিশ্বাস করতাম তাঁদের L5, L7 এ কিছু একটা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই তাঁরা উঠে দাঁড়িয়ে সত্যটা বলতে পারছেন না।'