এই মুহূর্তে সান বাংলার সবচেয়ে চর্চিত সিরিয়াল ‘আলোর ঠিকানা’। এই ধারাবাহিকে জুটি হিসাবে দেখা যাচ্ছে দেবাদৃতা বসু এবং জন ভট্টাচার্যকে। গল্পের বর্তমান ট্র্যাক বলছে, ধুমধাম করে গাঁটছড়া বাঁধল শহরের নামী ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে অভি এবং বাবার আদুরে রাজকন্যে আলো। আলো-অভির চারহাত এক হওয়ার মুহূর্ত আরও স্পেশ্যাল হয়ে উঠল দুই বিশেষ মানুষের উপস্থিতিতে।
সান বাংলার এই ধারাবাহিকে শুক্রবারের মহাপর্বে হাজির ছিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। সাবেকি পোশাকে ঝলমল করলেন দুজনে। এদিন অঙ্কুশের পরনে ছিল কালো শেরওয়ানি এবং ঐন্দ্রিলা সেজেছিলেন সোনালি রঙা গাউনে। পুরোদস্তুর গর্জাস লুকে ধরা দিলেন টলিপাড়ার ‘ম্যাজিক’ জুটি।

এদিন নাচে-গানে বিয়ের আসর জমিয়ে দিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। পঞ্জাবি গানের তালে তালে ফাটিয়ে নাচলেন অঙ্কুশ। নবদম্পতিকে আর্শীবাদ দেওয়াই নয়, তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর আগে কঠিন সমস্যার হাত থেকেও দুজনকে বাঁচায় অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা।
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ‘কিউট কপল’ অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। আলো-অভির বিয়ের আসরে দুজনকে দেখে সবার মনেই প্রশ্ন, বিয়ের পিঁড়িতে কবে বসছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য জানা নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে সান বাংলায় শুরু হয়েছে ‘আলোর ঠিকানা’। ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’ ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে টিভির পর্দায় ফিরছেন ‘আলো’ দেবাদৃতা। অন্যদিকে ‘মিঠাই’-এর খলনায়ক থেকে এই ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে জন। এই ধারাবাহিকের গল্প ঠিক কেমন? বাবার স্বপ্নপূরণ আলোর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। পড়াশোনা নিয়েই আলোর বেড়ে ওঠা । তার জীবন পাল্টে যায় যেদিন হঠাৎ তার বাবা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। বিয়ের পর্ব মিটেছে ইতিমধ্যেই, এর পরেই আসবে কাহানিতে আসল টুইস্ট। বিয়ের পর আলো জানবে বাড়ির ব্যবসা সামলায় তিন বৌ আর ভাইরা বাড়ির কাজকর্ম দেখভাল করে। পাশাপাশি এই পরিবারের অন্দরে লুকিয়ে রয়েছে একটা গভীর রহস্য, সেই সত্যিটা জানতেই আলোর সামনে এসে দাঁড়াবে এক সংকট। কীভাবে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে সে? তা উঠে আসবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বগুলোতে।