ঘুরতে গিয়ে সেখানকার স্থানীয় খাবার চেখে দেখার মজাই আলাদা। তারকারাও ডায়েট ভুলে, চেখে দেখেন। যেমন ছবি দিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র। দেখা গেল, পাহাড়ি জঙ্গলকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সাদা ভাত আর একটি কালচে রঙের খাবারের ছবি দিয়েছেন। সেটি আসলে কালো তিল দিয়ে তৈরি মাংস। খাসি খাবার।
লোপা ছবি শেয়ার করে লিখলেন, ‘কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানকার স্থানীয় খাবার খাওয়া উচিত। তাই চেখে দেখলাম। খাসি খাবার । কালো তিল দিয়ে বানানো মাংস। নাম হলো Neiioong। সঙ্গে ভাত। যেমন দেখতে, তেমনই খেতে।’ মেঘালয়ে গাড়ি করে ঘোরার একটি ভিডিয়োও শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডের জের! শ্রেয়ার পর এবার কলকাতায় কনসার্ট বাতিল করলেন লোপামুদ্রা-জয়
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শো ক্যানসেল করে তিলোত্তমাবাসীর মন জয় করে নিয়েছিলেন গায়িকা। ১৩ই সেপ্টেম্বর কলকাতার বিড়লা সভাঘরে একসঙ্গে পারফর্ম করার কথা ছিল লোপামুদ্রা ও তাঁর স্বামী যন্ত্রশিল্পী জয় সরকারের। ফেসবুকে দম্পতি ঘোষণা করেছিলেন, শো করছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: দুই শালিক নয়, প্রাইম টাইমে রাঙামতি তীরন্দাজ, কবে-কখন থেকে শুরু জলসার এই ২ নতুন মেগা, জানুন
সেইসময় তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘তিলোত্তমার জন্য আমরা কেউ ভালো নেই। এই মানসিক অবস্থায় সব ভুলে হই হই করে গান-বাজনা করায় মন দিতে পারছি না আমরা।আমরা সংগীতশিল্পী , যন্ত্রশিল্পী । আমাদের কাজ মানুষকে ভালো রাখা। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ অক্লান্ত পরিশ্রম করে , আমি , জয় এই কাজই করে চলেছি। আমাদের সাথে জড়িয়ে আছে আরোও অনেকগুলো মানুষের পেশা, রুজি-রোজগার । তবু, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪, জয়-লোপা এক্সপ্রেস চলবে না।’
আরও পড়ুন: ভাঙা পাঁজর নিয়ে সলমন জেরবার ছিলেন দিনকয়েক আগে, এখন হাত দেখে আপনি বলবেন, ‘বাবা রে’
এখানেই শেষ নয়, কবি জয় গোস্বামীর মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয় কবিতা আবৃত্চি করে যখন ট্রোল হন নাট্যশিল্পী গৌতম হালদার, তখন বেশ রেগে গিয়েছিলেন লোপামুদ্রা। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘শিল্পী, সাহিত্যিক, গায়ক, অভিনেতা, যারা দীর্ঘদিন একটা সাধনার মধ্যে দিয়ে তাঁর নিজের পায়ের তলার জমি তৈরি করেছেন, সম্মান ও শ্রদ্ধার আসন তৈরি করেছেন, তাঁদের তো বটেই, এমনকি আমরা কোনো মানুষকে প্রকাশ্যে এইভাবে অপমান করতে পারি না। অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে পারি না। আমরা আলোচনা করতে পারি, তাঁর উপস্থাপনা নিয়ে, কিন্তু , এরকম উচ্চমানের শিল্পীকে এভাবে কটূক্তি করতে পারি না। শ্রোতা, দর্শক, পাঠক আমাদের ঈশ্বর। একথা আমার বা আমাদের শিরোধার্য। তবু, আমি প্রতিবাদ করছি।’