রাজপরিবারের ছেলে সইফ আলি খান। পতৌদির নবাব তিনি। শরীরে রাজরক্ত বইলেও সবকিছুই যে জন্মসূত্রে পেয়েছেন পতৌদির নবাব তেমনটা নয়।সদ্যই সইফ-করিনার বিয়ের আট বছর পূর্তি উদযাপন করতে পতৌদির প্যালেসে হাজির হয়েছেন সইফ। সেখানেই ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের মাধ্যমে এই বিশেষ দিন উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে মিঁয়া-বিবিকে। কিন্তু অনেকেরই হয়ত এই তথ্য অজানা পতৌদির এই রাজপ্রসাদ পৈতৃক সম্পত্তি হিসাবে সইফের ঝুলিতে আসেনি। মনসুর আলি খান পতৌদি এবং শর্মিলা ঠাকুর পুত্র গত বছর ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এই সত্যিটা মেনে নিয়েছিলেন। সইফের কথায় পতৌদির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের প্রাসাদটি নিজের টাকা দিয়ে পুনরুদ্ধার করতে হয়েছে তাঁকে। সইফ বলেছিলেন, ‘মানুষের সবকিছু সম্পর্কে একটা নির্দিষ্ট ধারণা থাকে। যেমন ধরুণ- যখন আমার বাবার মৃত্যু হয় তখন পতৌদির রাজপ্রসাদ নীমরানা হোটেল চেনের কাছে লিজে দেওয়া ছিল। অমন(নাথ) এবং ফ্রান্সিস (ওয়াকজিরাং) সেই হোটেল চালাতো, ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল আমি কি ফেরত চাই পতৌদির প্রাসাদ? পরিবর্তে আমার কাছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছিল। সেটা আমাকে দিতে হয়'। ফ্রান্সিস ওয়াকজিরাং এবং অমন নাথ যৌথভাবে মনসুর আলি খান পতৌদির থেকে ১৭ বছরের জন্য লিজে পতৌদির প্যালেসটি নিয়েছিলেন হোটেল ব্যবসার জন্য। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্য পতৌদি প্যালেস হোটেল হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এরপর সেটি সইফ পুনরুদ্ধার করে নেন।হরিয়ানার গুরুগ্রাম জেলায় অবস্থিত পতৌদির এই প্রাসাদ, অনেকেই একটা ইব্রাইম কোঠি বলেও উল্লেখ করে থাকেন। ১০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই এই প্রাসাদে রয়েছে ১৫০টি কক্ষ। এই প্রাসাদের বর্তমান বাজার মূল্য ৮০০ কোটি টাকা। সইফের ঠাকুরদা ইফতিকার আলি খান ছিলেন পতৌদির শেষ নবাব। এই প্রাসাদে শ্যুটিং হয়েছে জুলিয়া রবার্টের বিখ্যাত হলিউড ছবি ইট প্রে লাভ সহ, মঙ্গল পাণ্ডে, বীর জারা, গান্ধী: মাই ফাদার এবং মেরে ব্রাদার কি দুলহানের মতো বলিউড ছবির। ১৬ অক্টোবর, বিবাহবার্ষিকীর দিন করিনা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সইফুর জন্য একটি বিশেষ বার্তা পোস্ট করেন। নায়িকা লেখেন- ‘একদা কোনও একটা সময় বেবো বলে একটা মেয়ে ছিল এবং সইফু বলে একটা ছেলে ছিল। ওরা দুজনেই স্প্যাগেটি এবং ওয়াইন ভালোবাসত… এরপর ওরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগল। তাহলে তোমারা এখন জেনে গেলে সুখী গৃহকোণের আসল চাবিকাঠি কী! এটাই বলব শুভ বিবাহবার্ষিকী সইফ আলি খান পতৌদি… আজ থেকে অনন্তকাল এবং তারপরেও..’।