চার বছর পর ইদে হলে এল সলমন খানের কোনও ছবি। তাই প্রত্যাশা ছিল বিশাল। কিন্তু তা পুরোপুরি হয়তো পূরণ করতে পারল না কিসি কা ভাই কিসি কি জান। প্রথম দিনে ছবি ভারতীয় বক্স অফিস থেকে আয় করল ১৫ কোটি। যা আপাতদৃষ্টিতে খুব খারাপ না হলেও, সলমন খানের সিনেমা হিসেবে (তাও আবার ইদ রিলিজ) খানিক হতাশাজনক তো বটেই।
বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ টুইট করেছেন যে ছবিটি তার প্রথম দিনে ১৫.৮১ কোটি আয় করেছে। টুইটে লেখেন, ‘#KisiKaBhaiKisiKiJaan ১ম দিনে অপ্রতিরোধ্য। আরও বেশি যখন কেউ এটিকে ১০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সলমন খানের ইদ রিলিজের সাথে তুলনা করে। মেট্রো সিটিতে দুর্বল, মাসপকেটে ভালো, কিন্তু দুর্দান্ত নয়। আজ (ইদে) ছবিকে ব্যবসা বাড়াতে লাফ দিতেই হবে। শুক্র ১৫.৮১ কোটি। ’
সলমন খানের ইদ রিলিজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করেছিল ভারত ৪১ কোটি। সবচেয়ে বড় কথা ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এর প্রথম দিনের আয় সলমনের কেরিয়ারের বিগেস্ট ফ্লপ হিসেবে চিহ্নিত রেস ৩ এবং টিউবলাইট-এর থেকেও কম।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ওয়ান্টেড দিয়ে ইদে সিনেমা আসা শুরু হয় সলমন খানের। এই ছবির প্রথম দিনের আয় ছিল ৫.১০ কোটি। এরপর ২০১০ সালে দাবাং। যা আয় করেছিল ১৪.৫০ কোটি ওপেনিংয়ে। সেই সময়ের সবচেয়ে বেশি উপার্জিত প্রথম দিনের তকমাও এসেছিল এই ছবির ঝুলিতে। ২০১১ সালে আসে রোম্যান্টিক-কমেডি বডিগার্ড। আর ওপেনিং পায় ২১ কোটির। ২০১২ সালে এক থা টাইগার দিয়ে সলমনের ছবি প্রথম দিনে আয় করে ৩২.৯২ কোটি। সেই সময়ের সর্বোচ্চ ওপেনারের খেতাব ফের যায় সলমনের কাছে।
২০১৪ সালে কিক প্রথম দিনে আয় করে ২৬ কোটি। এরপর ২০১৫-এর বজরঙ্গি ভাইজানের প্রথম দিনের আয় হয় ২৭.১৫ কোটি। রেকর্ড ভাঙার প্রবণতা অব্যাহত ছিল ২০১৬ সালেও। যা প্রথম দিনেই ৩৬.৫৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। ২০১৭ সালে টিউবলাইট ২১.১৫ কোটি সংগ্রহের সঙ্গে খাতা খুলেছিল। এবং ২০১৮ সালে রেস ৩ এর উদ্বোধনী দিনের আয় ছিল ২৯.১৭ কোটি। এই দুটি সিনেমাই সলমন খানের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় দুটি ফ্লপ। ২০১৯ সালে ইদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভারত’-এর আয় ছিল সলমনের কেরিয়ারের সর্বোচ্চ, ৪২.৩০ কোটি।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )