১৯৮৯ সালে বক্স অফিস কাঁপিয়ে মুক্তি পেয়েছিল সুভাষ ঘাই পরিচালিত ছবি 'রাম লখন'। সদ্য ৩৩ বছর পেরোল সেই ছবি। তবে তিন দশক পেরিয়েও আজও এই ছবিতে মজে দর্শককুল। ছবিতে কেন্দ্রীয় দুই চরিত্রে দেখা গিয়েছিল জ্যাকি শ্রফ, অনিল কাপুরকে। সঙ্গে ছিলেন ডিম্পল কপাডিয়া, মাধুরী দীক্ষিত, রাখী গুলজার, অনুপম খের-রা। সম্প্রতি, এই প্রসঙ্গে ই-টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন জ্যাকি শ্রফ। ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে সুভাষ ঘাই, অনিল সবার ব্যাপারেই নানা রঙের কথা বললেন এই জনপ্রিয় বলি-অভিনেতা।জোর গলায় কথা বললেন 'রাম লখন' এর রিমেকের ব্যাপারেও।জ্যাকির কথাতেই জানা গেল যখন তিনি এই ছবিতে কাজ করার জন্য রাজি এটুকু জেনেছিলেন 'রাম লখন' আদতে দুই ভাইয়ের গল্প। ব্যাস এটুকুই। হাতে কোনও চিত্রনাট্য পাননি। সুভাষ ঘাইয়ের থেকে তিনি নিজে তা জিজ্ঞেসও করেননি, চেয়েও নেননি, এতটাই শ্রদ্ধা তিনি করেন সুভাষ ঘাইকে। কাজ করতে করতে চিত্রনাট্য পেতেন। আরও জানালেন, সেইসময় তাঁর বিপরীতে ডিম্পল কাপাডিয়া কাজ করছেন এই ব্যাপারটাই স্বপ্নের মতো মনে হতো তাঁর। অভিনেতার কথায়, ডিম্পল তখন বিরাট নাম। আমি তখন সদ্য নাম করছি। সেই সময়ে আমার বিপরীতে কাজ করেছিলেন উনি। যদিও আগেও ওঁর সঙ্গে 'আল্লা রক্ষা'তে কাজ করেছিলাম। আর এত দারুণ মানুষ কী বলবো। জুনিয়রদের প্রতি ওঁর ব্যবহার ভীষণ শিক্ষণীয়।'বলিউডে বলা হয় সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালিত ছবির মধ্যে সেরা নাকি 'রাম লখন'। সতর্ক জ্যাকির জবাব, 'সুভাষজির কোনও ছবিকেই রেটিং দেওয়ায় ঠিক নয়। তাঁর অন্যান্য পরিচালিত ছবির সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। সবকটিই বিনোদনে ভরপুর।' আর অনিল কাপুর? প্রস্হান শুনে নড়েচড়ে জ্যাকির খোলামেলা জবাব, 'অনিলের সঙ্গে প্রচুর ছবি কোর্সচী। ওঁর সঙ্গে আমার বহু বছরের দারুণ সম্পর্ক। এতটুকুও বিদ্বেষ নেই আমাদের মধ্যে। ওঁর পরিবারকে দারুণ ভালোবাসি। ও সম্মান করে আমার পরিবারকে।' হাসতে হাসতে 'রাম' এর সংযোজন, ' বাস্তবে অনিলের বয়স আমার থেকে বেশি কিন্তু ছবিতে সবসময়ই ব্যাটা আমার ছোট ভাই সাজে।' সাক্ষাৎকারের একেবারে শেষে দৃঢ় ভঙ্গিতে জ্যাকি জানান যে যদি ফের 'রাম লখন'-এর রিমেক তৈরি হয় তাহলে তাঁর জন্য তিনি এবং অনিল আজও 'পারফেক্ট কাস্টিং'। অভিনেতার দাবি, 'আমরা দু'জনে আজও একইরকম আছি। তাই আমাদেরই এই দুই চরিত্রে সবথেকে ভালো মানাবে।'