বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > 'মাসান হোলি'র চিত্রায়ন থেকে নৌকোয় চড়ে ছবির সিংহভাগ শ্যুটিং! 'দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা' নিয়ে আড্ডায় জয়দীপ
পরবর্তী খবর

'মাসান হোলি'র চিত্রায়ন থেকে নৌকোয় চড়ে ছবির সিংহভাগ শ্যুটিং! 'দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা' নিয়ে আড্ডায় জয়দীপ

'দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা' নিয়ে আড্ডায় জয়দীপ মুখোপাধ্যায়

বাবার কিনে দেওয়া প্রথম বই ছিল সত্যজিৎ রায়ের 'সোনার কেল্লা' আর 'জয়বাবা ফেলুনাথ'। বইয়ের পাতায় পড়তে পড়তে আর পাঁচটা বাচ্চার মতো ফেলুদাকে তো বটেই, পাশাপাশি ছেলেবেলা থেকে বেনারস শহরটার প্রতিও একটা টান কাজ করত তাঁর। তারপর ঘুরতে গিয়ে বেনারসের অলিগলি, ঘাট, খাবার, পরিবেশ সবটা মিলিয়ে শহরটার প্রেমে পড়ে যান পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তবে কেবল তো তাঁর বেনারস প্রীতি নয়, বরং বাঙালিদেরও এই শহরের সঙ্গে এক অন্যরকমের আকর্ষণ কাজ করে। তাই সবটা মিলিয়ে এবার পরিচালক তাঁর গল্পের নায়ক অনির্বাণ চক্রবর্তী থুড়ি 'একেন'-কে নিয়ে পাড়ি জমালেন কাশীতে। বোটে চড়ে একপ্রকার জলপথেই সারলেন শ্যুটিং। আর এখন তাই প্রেক্ষাগৃহে চুটিয়ে উপভোগ করছেন দর্শকরা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে শ্যুটিংয়ের সেই ইতিবৃত্তই শোনালেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।

বেনারস তো আপনার খুব পছন্দের শহর, তাই কি এবার 'একেন' বেনারসে?

জয়দীপ: বেনারস সত্যি আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা। বেনারসের প্রতি আমার প্রথম ভালো লাগা আসে সত্যজিৎ রায়ের ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ পড়ে। তারপর যখন ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ সিনেমা হয়, তখন সেটা দেখে আর বেশি করে জায়গাটাকে ভালোবেসে ফেলি। আমি প্রথমবার ছোটবেলায় যখন বেনারসে যাই, তখন থেকেই বেনারসের ঘাট, খাবার, লোকজন সবটা দেখে আরও বেশি করে জায়গাটার প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়। তবে কেবল আমার ভালো লাগা তো নয়। দর্শকদের ভালো লাগার দিকটাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন একেনবাবুর কোনও অভিযান নিয়ে ভাবি তখন, সব সময় এটা মাথায় রাখি, যেন সেই জায়গাটা বাঙালির পছন্দের জায়গা হয়। সেই জায়গাটার সঙ্গে যেন বাঙালির একটা নস্টালজিয়া জুড়ে থাকে। আর এই কারণেই এর আগে 'একেন' দার্জিলিং, পুরী, রাজস্থান গিয়েছে। আর এবার বেনারসের। এই শহরটার সঙ্গে বাঙালির অনেকটা আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। বাঙালি বেনারস শহরটা খুব ভালোবাসে এবং বেশ কিছু প্রজন্ম ধরে অনেক বাঙালি সেখানে থাকেনও।

আর মাসান হোলি...

জয়দীপ: হ্যাঁ, সেটা তো আমাদের ছবিতেই একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।

কিন্তু কাজটা তো নিশ্চয়ই খুব একটা সহজ ছিল না, মাসান হোলির দৃশ্যটা কীভাবে শ্যুট করলেন?

জয়দীপ: মাসান হোলির দৃশ্যগুলো তুলে ধরতে গিয়ে দু'রকম ভাবে শ্যুট করা হয়েছে। বেনারসে যেদিন এই মাসান হোলি অনুষ্ঠিত হয়, সেদিন আমার গিয়ে তথ্যচিত্রের মতো করে কিছুটা অংশ ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানের মধ্যে অভিনেতাদের নিয়ে শ্যুটিং করাটা বেশ কঠিন। তাই অন্য একদিন, মাসান হোলি যাঁরা করেন, তাঁদের সাহায্য ওই একই আবহ তৈরি করে, তার মধ্যে আমাদের শ্যুটিংটা হয়। ওঁরা মাসান হোলিতে যেমন করে সাজেন, ঠিক তেমনটাই সেজে ছিলেন, তার সঙ্গে আসল যে সমস্ত সাধু সন্ত থাকেন তাঁরাও আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন। মাসান হোলি যাঁরা করেন তাঁদের প্রায় ৫০ জন আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন, আর বাকি আমাদেরও প্রায় ৫০ জন মতো জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলেন। সবটা মিলিয়ে এই দৃশ্যটা তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল।

তবে কেবল তো মাসান হোলি না বেনারসে এত ঘাট, অলিগলি কাজ করাটা বেশ কঠিন…

জয়দীপ: আসলে কি জানেন তো শুধু বেনারস বলে নয়, যে কোনও জায়গাতে ক্যামেরা পাতলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ, একটা আগ্রহ কাজ করে। অনেকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকেন, এসে ভিড় করেন। আর পাঁচটা জায়গার মতো বেনারসেও তা হয়েছে। কিন্তু ওখানকার মানুষ ভীষণ ভালো। ওঁদের যখনই অনুরোধ করেছি যে, 'আপনারা ক্যামেরার দিকে তাকাবেন না, একটু নিজেদের মধ্যে গল্প করুন', ওঁরা কিন্তু তা করেছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে এটাও হয়েছে যে, খুব ভিড়ের মধ্যে হয়তো সকলকে বোঝা সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের টিমের লোকজন গিয়েই ওঁদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিয়েছেন। তাছাড়াও কোনও বাড়ির সামনে শ্যুটিং করলে, কখনও ওখানকার বাসিন্দারা বিরক্ত হয়নি। বরং অনেক সময় আগ্রহেই বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। সেই সময় ওঁদের বলেছি যে, 'একটু বাড়ির ভিতরে থাকলে ভালো হয়'। ওঁরা সেগুলো বুঝেছেন, আর আমাদের কাজের ক্ষেত্রেও যথেষ্ঠ সাহায্য করেছেন।

তবে যেটা না বললেই নয়, তা হল এবার আমাদের পুরো শ্যুটিংটাই হয়েছে নৌকায় করে ঘুরে ঘুরে। কারণ গাড়ি করে একটা ঘাট থেকে অন্য ঘাটে যাওয়া বেশ সমস্যার। কারণ গলিগুলো বেশ সরু। কিন্তু শ্যুটিংয়ের এত জিনিস, তারপর সঙ্গে অভিনেতারা রয়েছেন, হেঁটে যাওয়া তো সম্ভব নয়, তাই বোটই ছিল ভরসা। তবে খুব আনন্দ করে আমরা কাজটা করেছি।

তা তো হবেই, আর তার উপর জয়বাবা ফেলুনাথের নস্টালজিয়া...

জয়দীপ: আসলে আমি নিজে প্রচন্ড ‘ফেলুদা’-ভক্ত।

হ্যাঁ, তার আভাসও তো পেলাম ছবিতে, 'জয়বাবা ফেলুনাথ'-এর সেই আইকনিক দৃশ্য...

জয়দীপ: আমার মনে আছে বাবা আমাকে প্রথম যে দুটো বই উপহার দিয়েছিলেন সেগুলো ছিল 'সোনার কেল্লা' আর 'জয়বাবা ফেলুনাথ'। সত্যজিৎ রায়কে আমি নিজের গুরুর মতোই মনে করি। আর তাছাড়া পরিচালক হিসেবেও আমি ওঁকে প্রচন্ড শ্রদ্ধা করি। তাই সেই দিক থেকে এটা আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য। এটা আমার প্রতিটা গল্পেই থাকে। যখন দার্জিলিংয়ে ছবি হয়েছিল সেখানেও ছিল আর রাজস্থানেও। বেনারস কীভাবে ব্যতিক্রম হয়? দর্শকদেরও তো 'ফেলুদা' পছন্দের।

হ্যাঁ, আর 'দ্য একেন: বেনারসে বিভীষিকা' দেখেও তো দর্শকরা খুব আল্পুত...

জয়দীপ: এটা যে পরিচালক হিসেবে খুবই আনন্দের আর শান্তির, তা তো বলাই বাহুল্য। এত মানুষ আমাদের ছবি পছন্দ করছেন, দর্শকদের থেকে এত ভালোবাসা পাচ্ছি আমরা, একজন পরিচালকের কাছে এটাই তো সবচেয়ে বড় পাওনা। তবে শুধুমাত্র কলকাতা নয়, আমাদের ছবি তো পুনে, বেঙ্গালোর, দিল্লির মতো দেশের অনেক জায়গাতেই মুক্তি পেয়েছে। সেখানেও ভালো সাড়া পাচ্ছি। দিল্লি ও মুম্বইতেও বেশ কয়েকটা শো হাউজফুল। এগুলো দেখে আরও ভালো লাগছে। কারণ আমরা কেবল কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের নয়, যে সব বাঙালি কাজের সূত্রে বাইরে রয়েছেন তাঁদেরও ছবিটার মাধ্যমে আনন্দ দিতে পেরেছি। হল ভরিয়ে দেখতে আসছেন দর্শকরা, সেটাও আনন্দের বিষয়।

আর বইয়ের পাতা ঘাঁটলে 'একেন'ও তো প্রবাসের...

জয়দীপ: হ্যাঁ, তবে দর্শকদের জন্যই স্থান, কালের এই পরিবর্তন করা।

তা বটে, তবে দেখে বোঝার খুব একটা সুযোগ থাকে না যে, স্থান কালে বদল এসেছে, কীভাবে এত সুন্দর করে সবটা মিলিয়ে দেন?

জয়দীপ: সুজন দাশগুপ্ত ('একেনবাবু'-এর স্রষ্টা) বিদেশে থাকতেন, তিনি সেখানকার প্রেক্ষাপটে এক গোয়েন্দার গল্প আনেন। কিন্তু পরবর্তীতে 'একেন' নিয়ে ওয়েব সিরিজ করা শুরু হয় তখন স্থান, কাল বদলাতে হয় দর্শকদের জন্য। কারণ আমাদের মূল দর্শক কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা। তাঁরা যাতে জায়গাগুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন, সেই জায়গা থেকেই এই বদল। আর সেটা খুব সুন্দর ভাবে পদ্মনাভ দাশগুপ্ত ওঁর লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেন। বইয়ের পাতায় গল্প যে ভাবে পড়া হয়, আর যখন চিত্রায়িত করার হয় তখন ট্রিটমেন্টটা সম্পূর্ণ আলাদা হয়। সেটা সত্যজিৎ রায়ও করতেন, তাছাড়াও সাহিত্যনির্ভর প্রায় সমস্ত ছবির ক্ষেত্রেই পরিবর্তন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হয়।

'একেন'-এর ক্ষেত্রে আমরা একটা গল্পকে বেছে নিই। তারপর গল্পের মূল যে প্লট সেটা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ঠিক করি যে কোন জায়গাটা এই গল্পের জন্য উপযুক্ত হবে। তারপর গল্পটা আমাদের মতো সাজিয়ে আগে সুজনদাকে পাঠানো হত। তিনি দেখে আমাদের জানালে তারপর আমরা এগিয়ে যেতাম। তবে এখন আর তিনি নেই, তাই ওঁর স্ত্রী মানে শমিতাদিকে আমরা এই গল্পগুলো পাঠাই।

তবে স্থান-কালে পরিবর্তন এলেও 'একেন'-এর খাওয়া-দাওয়ায় কোনও পরিবর্তন নেই, আর আপনি তো বেশ খাদ্যরসিক মানুষ, সেটাই কি কোথাও গিয়ে 'একেন'-এর উপর প্রতিফলিত হয়?

জয়দীপ: (বেশ খানিকটা হেসে) না না, আমি খাদ্যরসিক বলে 'একেন' খাদ্যরসিক এমনটা নয়। সে আগে থেকে 'খাদ্যরসিক' ছিল। আসলে সুজনদা 'খাদ্যরসিক' মানুষ, আর পদ্মনাভও। তাই বলতে পারেন আমরা দুই খাদ্যরসিক মিলে বরং একেবারেই খাদ্যরসিক নন, এমন একটা মানুষকে খাদ্যরসিক করে তুলেছি। মানে অনির্বাণকে (অনির্বাণ চক্রবর্তী) 'একেন' করে তুলেছি।

তবে অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখতে দেখতে অনেকগুলো কাজ হয়ে গেল কিন্তু...

জয়দীপ: হ্যাঁ

আপনাদের এখন সম্পর্কের সমীকরণটা আর কি অভিনেতা-পরিচালকে সীমাবদ্ধ আছে? আপনাদের রসায়নটা ঠিক কেমন এখন?

জয়দীপ: একজন বলেছেন আমার আর অনির্বাণের রসায়ন নাকি শাহরুখ আর কাজলের মতো (বলেই হেসে ফেলেন পরিচালক)। আসলে কী জানেন তো প্রথম কাজের পরেই না আমাদের মধ্যে একটা বন্ডিং তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমরা প্রায় ১২টা কাজ করে ফেলেছি। আমার সঙ্গেই ও মনে হয় ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বের, দাদা-ভাইয়ের মতো সম্পর্ক। এখন আমরা একে অপরের চোখ দেখলে বুঝে যাই যে, আমাদের কার কী অবস্থা।

আমাদের আলাপ যখন হয় তখন পুরো পৃথিবীর মানুষের জন্যই খুব খারাপ সময় যাচ্ছিল। করোনার থাবা এসে পড়েছিল। সেখানে সকলের মধ্যে একটা চিন্তা কাজ করত, তাঁরা পরবর্তীতে কীভাবে জীবনধারণ করবেন? অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন হবে? সেই রকম একটা পরিস্থিতিতে আমার প্রথম 'একেন'-এর চতুর্থ সিজন শুরু করেছিলাম। একেন-এর তৃতীয় সিজন খুব একটা মানুষ দেখেননি। তাই হইচই ভেবেছিল 'একেন'-এর চতুর্থ সিজন যদি দর্শকদের থেকে ভালো ভাবে সাড়া না পায়, তাহলে 'একেন' বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ওই চতুর্থ 'একেন'টা অনির্বাণের কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আর আমার কাছেও। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি, সেখানে ৩টি সিরিজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে, চতুর্থ সিরিজ যদি সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারি, তাহলেই এটা সামনের দিকে এগোবে। এরকম একটা অপ্রতুল পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধুত্ব হলে, সেই বন্ধুত্বটা অনেকটা দৃঢ় হয়, আমার ধারণা অনির্বাণ আর আমার বন্ধুত্বটা সেই কারণেই এতটা শক্তিশালী। পরবর্তীতে আমরা যে এতটা আসতে পেরেছি, সেটা আমার মনে হয়, আমাদের এই অটুট বন্ধুত্বটার জন্যই।

আর শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়...

জয়দীপ: অপুও আমার অনেক ছোটবেলার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে চার্বাকে জোছনদার (জোছন দস্তিদার) কাছে অভিনয় শুরু করেছিলাম। ওঁর সঙ্গেও আমার বহু কাজ রয়েছে। অপু থাকার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে ও ভীষণ পরিমাণে শ্যুটিং ফ্রেন্ডলি একটা মানুষ। ওঁকে যা কলটাইম দেওয়া হয় ও তাঁর ১০ মিনিট আগে এসে হাজির হয়। শ্যুটিং ফ্লোরে যতক্ষণ শট থাকে, তখন তো ও থাকেই, তাছাড়াও যখন ওঁর শট থাকে না তখনও থাকে। সারাক্ষণ ফ্লোরে বসে বিভিন্ন রকমের মজায়, আড্ডায় সেটটাকে জাগিয়ে রাখে। আমাদের শ্যুটিং এমনিও খুব মজা করেই হয়। আমরা কেউ সেটে মুখ গোমরা করে থাকি না। কিন্তু অপু হচ্ছে ওই সন্দেশে উপরে থাকা কিশমিশের মতো, যে থাকলে এই আনন্দ আরও বেশ খানিকটা বেড়ে যায়।

'দ্য একেন বেনারসে বিভীষিকা' তো রমরমিয়ে চলছে, তবে এর মাঝেই 'একেন'-ভক্তদের একটাই প্রশ্ন, পরের একেন কবে আসছে?

জয়দীপ: এই বছরই দুটো 'একেন' হয়ে গিয়েছে। জানুয়ারিতে পুরী ঘুরে এসেছে, আবার মে মাসে বেনারসে ঘুরে এসেছে। তাই পকেটেরও তো একটা ব্যাপার আছে। (বলেই হেসে ফেলেন পরিচালক) আমরা তো বারবার বেড়াতে যেতে পারি না। তাই আবার একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে।

একবছর পর কোথায় হবে 'একেন'-এর অভিযান, কিছু পরিকল্পনা হল?

জয়দীপ: না এখনও পরিকল্পনা শুরু হয়নি। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তা শুরু হবে। তবে তার আগে এই ছবির সাফল্যের যে উদযাপন, সেটা একটু ভালো করে, করে নিই।

Latest News

বাস চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি, ভরদুপুরে মেদিনীপুরে আলোড়ন কোটলাকে নিয়ে কোনও হোম-ওয়ার্কই ছিল না- DC-র ছিটকে যাওয়ার পিছনে রয়েছে আরও কারণ অপারেশন সিঁদুরের অংশ ছিলেন স্বামী, দিদির মঞ্চে কোন গল্প শোনালেন জওয়ানের স্ত্রী? গায়ে জড়ানো তেরঙা, হাওড়ায় BSF জওয়ান পূর্ণম নামতেই 'জয় হিন্দ' ধ্বনি, বললেন… টানলেও ছিঁড়বে না, বাড়বে লাফিয়ে, এই ৫ ভারতীয় ভেষজ আপনার চুলের জন্য ধন্বন্তরি আর এক জ্যোতির মতো ঘটনা!‌ ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে চাকরি, গ্রেফতার বাংলাদেশের তরুণী সম্পর্কের মাঝে ‘প্রাক্তন’এর প্রবেশ! ৩য় ব্যক্তির জন্যই দূরত্ব বেড়েছে যশ-নুসরতের? রুপোলি পর্দায় আসছে রতন টাটার বায়োপিক, নাম ভূমিকায় দেখা যাবে কাকে? স্ত্রীকে অপমান! বাড়ির বাবুর্চিকে কোন শিক্ষা দিলেন রাজকুমার? মাসান হোলি থেকে নৌকোয় চড়ে ছবির সিংহভাগ শ্যুটিং! 'দ্য একেন…' নিয়ে আড্ডায় জয়দীপ

Latest entertainment News in Bangla

অপারেশন সিঁদুরের অংশ ছিলেন স্বামী, দিদির মঞ্চে কোন গল্প শোনালেন জওয়ানের স্ত্রী? সম্পর্কের মাঝে ‘প্রাক্তন’এর প্রবেশ! ৩য় ব্যক্তির জন্যই দূরত্ব বেড়েছে যশ-নুসরতের? রুপোলি পর্দায় আসছে রতন টাটার বায়োপিক, নাম ভূমিকায় দেখা যাবে কাকে? স্ত্রীকে অপমান! বাড়ির বাবুর্চিকে কোন শিক্ষা দিলেন রাজকুমার? মাসান হোলি থেকে নৌকোয় চড়ে ছবির সিংহভাগ শ্যুটিং! 'দ্য একেন…' নিয়ে আড্ডায় জয়দীপ আসছে ৪ বোনের 'দাদামণি'! নাম ভূমিকায় প্রতীক? কোন চ্যানেলে কবে থেকে দেখা যাবে? 'ঠিক করি দুজনে…', কোন ঘটনার পর কার সঙ্গে সুইসাইডের পরিকল্পনা করেন ঐন্দ্রিলা? শয্যাসঙ্গী হলেই মিলবে কাজ! কাস্টিং কাউচ নিয়ে সরব সোফি! বললেন ‘খুশি করলেই নাকি…’ প্রেমে ছ্যাঁকা! পুরুষ জাতিকে ‘ভগবানের ভুল’ দাগিয়ে কী এবার সন্ন্যাসের পথে মিশমি? 'আমার বস'-এর গল্পই যখন বাস্তব! কলকাতায় সত্যিই রয়েছে এমনই এক ডে কেয়ার সেন্টার

IPL 2025 News in Bangla

কোটলাকে নিয়ে কোনও হোম-ওয়ার্কই ছিল না- DC-র ছিটকে যাওয়ার পিছনে রয়েছে আরও কারণ কারও অধিকার নেই… কোহলি, রোহিতের টেস্ট অবসর প্রসঙ্গে ছক্কা মারার চেষ্টা গম্ভীরের LSG-র কাছে হেরে চাপে GT, আদৌ প্রথম দুইয়ে থাকতে পারবে? কপাল খুলেছে RCB, PBKS-এর টানা স্লেজিং করছিলেন সিরাজ! এরপর পুরান যা করলেন, কান লাল হয়ে গেল ভারতীয় পেসারের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে টানাটানি! IPL-এর ম্যাচের পর পন্তকে পাত্তাই দিলেন না গিল! ইংল্যান্ড সফরে সুযোগ হচ্ছে না আনফিট শামির! মাত্র ১০ ওভার বোলিং করলে চলবে না! একটা দিগ্বেশকে থামাতে গেলে ১০০টা জন্ম নেবে! BCCI-র চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা আকাশের ক্রিকেট নিয়ে রাজনীতি! ইডেন থেকে IPL ফাইনাল সরানোয় BCCI-কে তোপ ক্রীড়ামন্ত্রীর RR ছেড়ে KKR-এ আসছেন যশস্বী জয়সওয়াল? জল্পনা বাড়তেই পোস্ট এডিট করলেন যশস্বী ৬,৪,৬,৪,৪,১: রশিদের ওভারে মার্শের ২৫, হতাশায় মুখ ঢাকলেন শুভমন গিল- ভিডিয়ো

Copyright © 2025 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.