সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আদালত থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন সলমন খান। মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্ট সলমনের নামে জারি সমনে স্থগিতাদেশ দিয়েছএ ৫ই মে পর্যন্ত। অন্যদিকে নিম্ন আদালত একই মামলায় ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দেওয়া থেকে ৯ই মে পর্যন্ত অব্যহতি দিয়েছে দাবাং খানকে।
গত মাসে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সলমন খান ও তাঁর বডিগার্ড নওয়াজ শেখের নামে এই সমন জারি করেছিল, এবং ৬ই এপ্রিল তাঁদের হাজিরার দিন নির্দিষ্ট ছিল। মঙ্গলবার সলমন খানের আইনজীবীরা ম্যাজিসস্ট্রেট কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করে হাজিরা থেকে অব্যহতি চেয়ে। তা গ্রাহ্য করে আদালত, এবং পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ৯ই মে।
অন্যদিকে মুম্বই হাই কোর্টে আরও একটি আবেদন দায়ের করেন সলমন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের তরফে জারি সমন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানান ভাইজান। মঙ্গলবার বিচারক বেবতি মোহিতে ডেরের সিঙ্গল বেঞ্চ অভিযোগকারী সাংবাদিক অশোক পাণ্ডেকে অভিনেতার আবেদনের জবাব দিতে বলেন, যে আবেদনে সলমন তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা খারিজের আর্জি জানিয়েছেন।
এই মামলা খারিজ করেনি হাইকোর্ট, পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৫ই মে। ওই সাংবাদিকের অভিযোগ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ের রাস্তায় সলমন খান সাইকেল চালানোর সময় তিনি অভিনেতার ছবি তুলছিলেন। তখনই সলমন ও তাঁর দেহরক্ষীর অকারণ রোষের মুখে পড়েন তিনি। ওই সাংবাদিকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন দুজনে, তাঁকে গালিগালাজ ও হেনস্থা করে।
সলমনের আইনজীবী আবাদ পোণ্ডা হাইকোর্টকে জানান, সাংবাদিক অশোক পাণ্ডে ২০১৯ সালের ২৪শে এপ্রিল পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এবং পরবর্তীতে জুন মাসে (২০১৯) ম্যাজিস্ট্রিট কোর্টে যে আবেদন দাখিল করেছিলেন সেই দুটির মধ্যে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। সলমন নাকি ওই সাংবাদিককে একটি শব্দও বলেননি বলে জানান অভিনেতার আইনজীবী। এরপর বিচারক ডেরে সাংবাদিকের আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন রাখেন কেন পুলিশের কাছে দায়ের অভিযোগপত্রে সলমনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর মক্কেলের।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সলমন ও তাঁর বডিগার্ডের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন পাণ্ডে। অভিনেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ এবং ৫০৬ নম্বর ধারায় সমন জারি হয়েছে গত মাসে। এই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আগে ডিএন নগর পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সলমনের বিরুদ্ধে সমন জারি করে কোর্ট।