নাম হিরো আলম। বাংলাদেশের চর্চিত ব্যক্তিত্ব তিনি। অভিনেতা, গায়ক, বিশেষত ইউটিউবার হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন হিরো আলম। আবার বেশ কয়েকবছর হল রাজনীতিতেও যোগ দিয়েছিলেন। তাই তিনি আবার রাজনীতিবিদও বটে। যদিও ভোটেও লড়লেও জিততে পারেননি। তবে সম্প্রতি বড় ঘোষণা করলেন হিরো আলম। আর রাজনীতি থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী জানিয়েছেন হিরো আলম?
তিনি জানিয়েছেন, ‘বর্তামানে আমি রাজনীতি থেকে বিরতি নিয়েছি। আমি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই। আর কোনও দলে যোগদান করবও না। নির্বাচনেও অংশ নেব না। আমি মিডিয়া জগতের লোক, মিডিয়াতেই থাকতে চাই।’
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের দরগা বাজারে 'জারা নিউ লুক জেন্টস পার্লার অ্যান্ড সেলুন'-এর উদ্বোধনে গিয়ে একথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে হিরো বলেন, 'বর্তমানে দেশের (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই অবস্থায় মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ফিরবেন কিনা সে নিশ্চয়তা নেই। বর্তমান সরকারের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণ বেড়েই চলছে। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।'
এই কথা প্রসঙ্গেই উঠে আসে নির্বাচনের প্রসঙ্গ। তখনই হিরো আলম বলেন, ‘আমাদের আগে জাতীয় নির্বাচন দরকার, পরে স্থানীয় নির্বাচন। আমরা সুষ্ঠু একটি নির্বাচন চাই। যাতে সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে এমন সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।’ তবে তিনি যে আর কোনওভাবে নির্বাচন, রাজনীতিতে যোগ দেবেন না, সেকথা সাফ জানিয়ে দেন হিরো আলম।
প্রসঙ্গত গত বছরই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হিরো আলম। তখন বহু বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে শেষপর্যন্ত হেরে যান। ইউটিউবার হিসাবে বিপুল জনপ্রিয়তা পেলেও তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার একেবারেই উজ্জ্বল নয়। আর সেকথা হয় তিনি নিজেও বুঝেছেন, তাই রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিরো আলম।