আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল ছিল রাজ্য ঠিক তখনই টলিউডের একাধিক ব্যক্তির নামে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। আর তাঁদেরই অন্যতম হলেন অরিন্দম শীল। যৌন হেনস্থার অভিযোগে আসতেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে। তাছাড়াও এক অভিনেত্রী পরিচালকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তবে এই বিষয়ে প্রথম থেকেই অরিন্দম সাফাই দিয়েছেন, ওই ঘটনা স্রেফ একটা ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ ছিল। অরিন্দম বলেছিলেন, ‘শুট চলাকালীন ওঁর গালের পাশে আমার মুখটা লেগেছিল একবার। এটা পুরোটাই একটা অ্যাক্সিডেন্ট।’ আর এবারও এই ঘটনা নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পরিচালক। ইন্ড্রাস্ট্রির দিকে আঙুল তুলে বললেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’।
সম্প্রতি দেবী আনলিশড নামক একটি চ্যানেলে এসেছিলেন অরিন্দম শীল। সেখানেই তিনি জানান এগুলো সবই মিথ্যে। তিনি এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাননি। শুধু তাই নয়, অরিন্দম শীল এদিন সাফ সাফ জানিয়ে দেন 'ইন্ডাস্ট্রি'তে কেউ কারও বন্ধু হয় না।
আরও পড়ুন: গোপালের পোশাক পরানো হল রবিঠাকুরকে, করা হল পুজো! সামনে আনলেন অভিনেতা ঋত্বিক
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সকলে ভেবে দেখতে পারতেন, একটা শ্যুটিং ফ্লোরের মধ্যে এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে? আমি যেহেতু অভিনেতা, সেই কারণে অনেক দৃশ্য অভিনয় করে দেখাই। এই ঘটনাটা যখন ঘটল, তখন শ্যুটিং ফ্লোরে সব টেকনিশিয়ানরাই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু যখন অভিযোগ উঠল, তখন একটা কাউকে সকলে মিলে আক্রমণ করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে, সেটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তাঁর কথায়, ‘ফেডারেশনের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযোগকারিণীর কাছের একজন মানুষ চারজন টেকনিশিয়ানকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন যেসব অভিনেত্রীরা, তাঁদেরও বলা হয়েছিল, ‘কী রে, তোরা কিছু বলছিস না কেন!’ আমার ওপর অনেকের রাগ আছে। একজন অভিনেত্রী বিদেশে গিয়ে চুরি করেছিলেন। জেলে যেতে-যেতে বেঁচেছেন। আমাকে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে ডাকা হয়েছিল, অন্য সিনিয়র ব্যক্তিদের সঙ্গে। এর বাইরেও রাগ থাকার কারণ হল, আমি ছবির অন্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার পর পরিচালক হয়ে গিয়েছি। আমাকে যে ফাঁসানো হয়েছে, অনেকে মিলে, সেখানে আমার তথাকথিত সহকর্মী-বন্ধুরা জড়িত।'