‘মুলুকফেরত মুকুল’ বলে একটি ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক শমীক রায়চৌধুরী, এবং সেই ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন রূপম ইসলাম।একথা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে পোস্ট করেছেন রূপম ইসলাম। সেই ছবির চিত্রনাট্যের বেশ কিছু অংশও উঠে এসেছে রূপম ইসলামের কলমে।
কী রয়েছে সেই চিত্রনাট্যে? রূপমের কথায় সেখানে আছে ‘সোনার বাংলা’ বা ‘মুলুকে মুকুল ফিরবে’ এমন সব প্রসঙ্গ। রূপম জানান, মূুলুক শব্দের সঙ্গে আবহসংগীত হিসাবে ‘কোতো’ যন্ত্রটা বাজবে। এই জাপানি যন্ত্র আচমকা বাংলায় কোথায় পাবেন সেই নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়লেও 'সেয়ানা পরিচালক' শমীক উপায় বাতলে দিয়েছেন বলে লেখেন রূপম।
‘মুলুকফেরত মুকুল: অবাক জাপান’ রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরানার এই ছবির মূল চরিত্র জাপান যাবে, তাই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের জন্য অরিজিনাল জাপানী যন্ত্রসংগীত ব্যবহার করতে আগ্রহী রূপম। সেখান থেকেই কোতো যন্ত্রটির ভাবনা। তবে কলকাতায় বসে কেতোর খোঁজ করতে গিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে সংগীতশিল্পীকে। কিন্তু রূপমের কথায় ‘সেয়ানা পরিচালক’ ঠিক উপায় বার করে যোগাযোগ করে ফেলেছিলেন জনৈকা মিসেস ওকুনোর সঙ্গে। এই জাপানি ভদ্রমহিলাই কেতো বাজাবেন ছবির জন্য। কী ভাবছেন এটা আদৌ সত্যি তো?
যুগান্তর পত্রিকার জন্য লেখা এই সুদীর্ঘ কলমে রূপম জানান, তাঁর গোটা লেখাটি কিন্তু মোটেই ‘ঢপের চপ নয়'। প্রমাণ হিসাবে বেশ কিছু ছবি দিয়েছেন তিনি, তবে সঙ্গে জানিয়েছেন- ‘সব চরিত্র কল্পনিক’ না হলেও পুরো লেখাটি মোটেই সত্যি নয়। ‘বিশ্ব সংগীত দিবস’-এর আগে বিশ্বের এক অজানা বাদ্যযন্ত্রের কথা এবং রেকর্ডিংয়ে অভিনব অভিজ্ঞতা তুলে ধরতেই ‘ফালতু ঢপ’-এর চিত্রনাট্যটি লিখেছেন তিনি। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল বা যোগ নেই। ছবির নামটাও পুরোদস্তুর ‘ঢপ’। কিন্তু রেকর্ড করবার অভিজ্ঞতাটি তো পুরোদস্তুর সত্য, সেখানে কোনও ভেজাল নেই।

কেমন দেখতে হয় কেতো বাদ্যযন্ত্রটি? রূপম জানিয়েছেন, ‘বিরাট একটা বাঁকানো পাটাতন। তার উপরে অনেকগুলো তার। তারগুলোর তলায় লাগাতে হয় ছোটছোট কাঠের ব্লক— যেগুলো এদিক সেদিক সরানো যায়। সরালেই তারের থেকে বেরনো সুরের পিচ ওঠা নামা করে। এগুলো সরিয়ে সুর শুনে শুনে যন্ত্রটা সুরে বাঁধতে হয়'।

আসলে শমীক রায়চৌধুরির ১৫ মিনিটের শর্ট ফিল্ম ‘ওকিয়াগারি'র মিউজিক রেকর্ডিংয়ের অনবদ্য অভিজ্ঞতার কথাই লিখতে গিয়েই এই ‘ঢপের কীর্তণ’ গেয়েছেন রূপম। বছর দুয়েক আগেই মুক্তি পেয়েছিল দেবলীনা কুমার ও মীর অভিনীত এই স্বপ্ল দৈর্ঘ্যের ছবি। যেখানে ফুটে উঠেছে জীবনের উত্থান-পতনের প্রতিচ্ছবি। গোল্ডেন ব্রীজ ইস্তানবুল, ২৬তম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সহ প্রচুর মর্যাদাব্যঞ্জক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটা ‘অফিসিয়াল সিলেকশন’ এই ছবি।