চর্চায় ‘মানিকবাবুর মেঘ’। প্রথমবার ছবি পরিচালনা করেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন নবাগত পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিল্ম সামলোচক থেকে দর্শক অনেকেই এমন ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এবার পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠ চাপড়ে দিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। চন্দন সেন অভিনীত এই ছবি দেখে নিজের অনুভূতির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন সৃজিত। তাঁর উপলব্ধি, ‘আমি হেরে গেছিলাম, কিন্তু তোমরা জিতে গেছ’।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি?
সৃজিত লিখেছেন, ‘যাঁরা ন বছর আগে নির্বাক দেখে হেসেছিলেন, টিটকিরি দিয়েছিলেন, তাঁরা আজ মানিকবাবুর মেঘ দেখে কাঁদছেন, হল ভরছেন। ভাল লাগছে। খুব ভাল লাগছে। এভাবেই জিতে যাক প্রতিবিম্বের নরম স্পর্শ, গাছের শ্বেতশুভ্র উত্তেজনা, সারমেয়ের সারাংশ, মৃতদেহের ঠান্ডা অভিমান। এভাবেই জিতে যাক মেঘের তীক্ষ্ণ বর্ষার মত চুম্বন, জলের ফোঁটায় বোনা ছায়ার আদর, ঝোড়ো সঙ্গমে তড়িৎস্পৃস্ট, মোক্ষম মোক্ষলাভ। অভিনন্দন, বৌদ্ধায়ন। আমি হেরে গেছিলাম, কিন্তু তোমরা জিতে গেছ।’
এদিকে সিনিয়র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও পাল্টা প্রত্যুত্তরে লেখেন, ‘ভালোবাসার ভাষা হয়না…। জয় হারের ওপারে যে চিরন্তন দিগন্ত, সেখানে দেখা হোক বারেবারে। ভালোবাসার দরবারে... অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা Srijit দা…’।
প্রসঙ্গত, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে 'নির্বাক' ছবিটি বানিয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন, যীশু সেনগুপ্ত, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত। ‘নির্বাক’-ছবির হাত ধরে গল্প বলার অন্য এক ঘরনা তুলে ধরেছিলেন সৃজিত। তারপর ২০২১-এ এসে (প্রসঙ্গত, মানিকবাবুর মেঘ তৈরি হয়েছিল ২০২১-এ, তারপর বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এদেশে মুক্তি পেল ২০২৪-এ) খানিকটা সেই একই ধাঁচের ছবি বানিয়েছেন অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০১৫-তে সৃজিতের নির্বাক ছবিটি দর্শকরা সেভাবে দেখেননি। তবে এখন পরিচালক অভিনন্দনের মানিকবাবুর মেঘ দেখে প্রশংসা করছেন বহু দর্শক। আর তাই সৃজিতের উপলব্ধি, ‘আমি হেরে গেছিলাম, কিন্তু তোমরা জিতে গেছ’।
এদিকে পরিচালক সৃজিতের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন লেখক, কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি সৃজিতের পোস্টে নিচে কমেন্টে লেখেন, ' ন'বছর আগে নির্বাক দেখার পর প্রথম আলিঙ্গন ও প্রথম লেখা আমারই ছিল। গরিব গীতিকার ব'লে ধর্তব্যের মধ্যেই আনোনি। কাল রাতে বাড়িতে একটু চাইনিজ পাঠিয়ে দিও। অনেকদিন ভালমন্দ খাই না।'