অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টার কেরিয়ার অন্যতম চর্চিত ছবি ছবি ‘কাল হো না হো’। দেখতে দেখতে ছবির ১৭ বছর পার করে ফেলল এই ছবি। কাল হো না হো-র ১৭ বছর পূর্তিতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায় প্রীতিকে। ছবিতে প্রধান নারী চরিত্র, নয়নার ভূমিকায় দেখা মিলেছিল প্রীতির। তাঁর বিপরীতে বলিউডের রোম্যান্স কিং শাহরুখ খান এবং সইফ আলি খান। পরিচালনায় নিখিল আডবানি। প্রযোজনায় ধর্মা প্রোডাকশন।
নিখিল আডবানির ছবির সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কাল হো না হো’কে স্মরণ করছি। এমন একটা ছবি যেটা আমাকে হৃদয় থেকে হাসিয়েছে এবং কাঁদিয়েছে। শব্দ দিয়ে বহিঃপ্রকাশের বাইরে এই অনুভূতি। এটা সম্ভবত আমার করা সবচেয়ে সেরা ছবি। ধন্যবাদ করণ, নিখিল, শাহরুখ, সইফ, জয়া আন্টি, পুরো কাস্ট এবং টিমকে যাঁরা এটাকে স্মরণীয় করে তুলেছে। তাই বন্ধুরা আমি তোমাদের একমাত্র যে জ্ঞান দিতে চাই তা হল- আজ নিজের জীবন পুরোপুরি বেঁচে নাও, ক্যায়া পাতা কাল হো না হো'।
ছবির একটি গানের ক্লিপিং ‘কুছ তো হুয়া হ্যায়’ শেয়ার করেন তিনি। এই ছবি দুটি জাতীয় পুরস্কার জিতে ছিল। ছবির টাইটেল ট্র্যাকের জন্য সোনু সেরা গায়ক নির্বাচিত হন, অন্যদিকে মিউজিকের জন্য সেরার পুরস্কার যায় শঙ্কর-এয়সান-লয়ের ঝুলিতে।
ছবি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অজানা তথ্য-
করিনা কাপুর প্রত্যাখ্যান করার পর ছবির অফার আসে প্রীতির কাছে। পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘এটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল ছিল কারণ তখন আমি আমার প্রথম ভালোবাসাকে হারিয়েছিলাম। আমি ওঁকে ভালোবাসতাম, তবে ও নয়। আমাকে যখন ছবির অফার করা হয়েছিল আমি ভীষণ অনুভব করতে পেরেছিলাম। কিছু ভালো ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেছিল শ্যুটিংয়ের সময়'।

ছবির যৌথভাবে প্রযোজনা করেছিলেন করণ জোহার এবং তাঁর বাবা যশ জোহার।সিনেমা রিলিজের কয়েক মাস পরেই মারা যান করণের বাবা।
শাহরুখ খান অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং ছবি থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন। তখন তাঁর বড় অপারেশন হয়েছিল। শাহরুখ করণকে জানিয়েছিলেন, তিনি সেই অবস্থায় শ্যুটিং করতে পারবেন না। শাহরুখের সুস্থ হয়ে আসা পর্যন্ত শ্যুটিং বন্ধ ছিল।
ছবিতে টাইটেল ট্র্যাক তৈরি হয়েছে খুব অদ্ভূৎ ভাবে। পুনের এক জার্মান বেকারিতে বসে নিখিল এবং মিউজিক কম্পজোরা শঙ্কর মহাদেবন এটার সুর দেন। নিখিল বেকারিতে বসে ‘My Heart will Go On’ গানটা গাইছিলেন এবং চেয়েছিলেন ওটার মতোই একটা গান। তখন লয় একটা সুর তোলেনই এবং সেখানে বসেই তাঁরা ফোনে সেটা রেকর্ড করে ফেলেন।
করণ জোহার ছবির গল্প লিখেছিলেন এবং পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন; ছবির পরিচালনা না করার জন্য। এটি ছিল নিখিল আডবানি পরিচালিত প্রথম ছবি।