সপ্তম দফা ভোটার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল তিলত্তমা। রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ট্যাংরা। ব্যানার—ফেস্টুন ছেঁড়াকে ঘিরে তৃণমূল—বিজেপির সংঘর্ষ বেঁধে গেল।ঘটনায় দু’পক্ষেরই মোট ১৪ জন আহত হয়েছে। দু’দলই কর্মীরা একে অপরকে বাঁশ, রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার দুপুরে ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ট্যাংরা থানার পুলিশ। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায়, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।শনিবার রাতে ট্যাংড়ার মথুরবাবু লেন এলাকায় বিজেপির ফেস্টুন ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সূত্রপাত। সেই সঙ্গে বিজেপির অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের কর্মীদের উপর হামলা করছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতের ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন বিজেপির এক মহিলা কর্মী। অভিযোগ তাঁর উপরও হামলা করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটিকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছেন। রাতের মতো পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেলেও রবিবার দুপুরে ফের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। রবিবার এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। অভিযোগ, সেই পথসভা ভণ্ডুল করতেই তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা হামলা চালায়। বাঁশ, রড নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দু’পক্ষই। সেই সঙ্গে চলে ইট—পাটকেল ছোঁড়াছুঁড়িও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে, ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ট্যাংড়া থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষে জেরে দু’পক্ষেরই ১৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন। বিজেপি অবশ্য দাবি করে, আহতরা সকলেই তাঁদের দলের কর্মী। মথুরবাবু লেন এলাকাটি বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এখানে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে জোরদার টক্কর চলছে। এর আগেও ওই এলাকা একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আগামী ২৯ তারিখ ওই বিধানসভা কেন্দ্রটিতে ভোট রয়েছে। তারই আগে এদিনের সংঘর্ষে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় পুলিশি প্রহরা রয়েছে। ভোটের আগে এলাকায় এই চাপা আতঙ্ক জারি থাকবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোটের দিনও এখানে ছোটখাটো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। যদিও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর লক্ষ্যে কলকাতাতেও পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে কমিশন।