বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে যুযুধান দুই প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের রত্না চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপির পায়েল সরকার। একজন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। রাজনীতির ঘরানায় থেকে অভ্যস্ত। অন্যজন রাজনীতিতে আনকোরা সেলুলয়েডের পর্দার অভিনেত্রী। রাজনীতির ময়দানে পায়েল কতটা রত্নাকে বেগ দিতে পারবে, সেটা সময়ই বলবে। তবে বার্ষিক আয়, স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির নিরিখে পায়েলের থেকে কোনও অংশে কম নেই রত্না। স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে ১২ কোটিরও বেশি সম্পত্তি রয়েছে রত্নার। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় রত্না চট্টোপাধ্যায় দেখিয়েছেন, গত ৫ বছরে তাঁর বার্ষিক আয় কখনও ৪১ লাখ, কখনও ৭৩ লাখ, কখনও ৮০ লাখ, আবার কখনও ৭৭ লাখ হয়েছে। অন্যদিকে পায়েল হলফনামায় জানিয়েছেন, ২০১৯–২০ সালে তাঁর আয় ছিল ১,৪৩৮,৩৪৭ টাকা। ২০১৮–১৯ সালে তাঁর আয় ছিল ১,৮১০,৬৫৮ টাকা। একইসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর দুটি অ্যাকাউন্ট আছে। একটিতে ৫০,০০০ টাকা ও অন্যটিতে ৩,৩৭৫ টাকা আছে। এছাড়া অপর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক একটি অ্যাকাউন্ট আছে, যাতে ১১,০০০ টাকা রয়েছে। অন্যদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নগদ সঞ্চয়ের পরিমাণ ২৪,৭৯৫,০০০ টাকা।স্থাবর, অস্থাবর সম্পতি সব মিলিয়ে প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী'র সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে ১২৭,০৫৮,০০০ টাকা। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারের কাছে আছে ৫৬ গ্রাম সোনার গয়না। তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে রয়েছে ৩৬৮ গ্রাম সোনা রয়েছে। পাশাপাশি পায়েলের রয়েছে বাইপাসের ধারে আরবানা কমপ্লেক্সে ১৬০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে ১৬ লাখ টাকা মূল্যের অডি গাড়ি।গাড়ির বিষয়েও পায়েলকে টেক্কা দিয়েছেন রত্না। রত্নার দুটি গাড়ি রয়েছে, যার মোট বাজার মূল্য ৪৮ লাখ টাকারও বেশি। এবারের ভোট যুদ্ধে দু'জনেই এখন প্রচারের ময়দানে। তবে রত্না কি পারবেন পায়েলকে হারিয়ে ভোট যুদ্ধে মানুষের মন জিতে নিতে, সেটাই এখন দেখার?