এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী বিক্রম চন্দ্র প্রধান ৪৮.১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সুকুমার রায় পেয়েছেন ৪৮.৮২ শতাংশ ভোট।মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলাকে দু’ভাগে ভাগ করে এই জেলা স্থাপিত হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। দাঁতন এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিক্রম৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৫,৬৪১৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী শিশিরকুমার পাত্র৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬৬,৩৮১৷ শিশিরকে ২৯,২৬০ ভোটে হারিয়েছিলেন বিক্রম। ২০১১ সালের নির্বাচনে সিপিআইয়ের অরুণ মহাপাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের শৈবাল গিরিকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের নন্দগোপাল ভট্টাচার্য দাঁতন কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ ও ২০০৬ সালের নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্রমচন্দ্র প্রধান ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের সুনিলবরণ গিরিকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।১৯৯১ সালে সিপিআইএমের রঞ্জিত পাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের পঞ্চানন মোহান্তিকে পরাজিত করেছিলেন।১৯৮৭ সালে সিপিআইয়ের কানাই ভৌমিক নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দিলীপকুমার দাস ও ১৯৮২ সালের নির্বাচনে জনতা পার্টির প্রদ্যুৎকুমার মোহান্তিকে পরাজিত করেছিলেন। তার আগে ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির প্রদ্যুৎকুমার মোহান্তি সিপিআইয়ের রবীন্দ্রনাথ দ্বিবেদীকে ওই আসনে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭২ সালে কংগ্রেস (সংগঠিত) প্রদ্যুৎকুমার মোহান্তি দাঁতন আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে কংগ্রেসের পুলিনবিহারী ত্রিপাঠী জিতেছিলেন। ওদিকে ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের দেবেন্দ্রনাথ দাস এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। তারও আগে ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের চারুচন্দ্র মোহান্তি জিতেছিলেন। দেশের প্রথম নির্বাচনে ভারতীয় জনসংঘের তরফে জ্ঞানেন্দ্রকুমার চৌধুরী দাঁতন কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।