ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত উত্তাপ বাড়ছে নন্দীগ্রামের। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও গতরাতে বিজেপি কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল। সেই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। নন্দীগ্রাম ২ নম্বরে ব্লকের আমদাবাদের বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী সৌরভ আচার্যের দাবি, গতরাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোড়ে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বরং ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ভোটের আগে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। সেই বোমাবাজির মধ্যেও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের জন্য নন্দীগ্রামে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। নন্দীগ্রামে ঢোকার মুখে সব রাস্তায় নাকা চেকিং করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিচয়পত্র। বাইরের লোক ঢুকছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। পুলিশের গাড়িতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। হেলিকপ্টার করে আকাশপথে নজরদারি চালানো হচ্ছে। তারইমধ্যে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের ৫৫ টি বুথেই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে শুধু নন্দীগ্রাম নয়, ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংও। অভিযোগ, সবংয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় দুলাল বর্মণ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছে। সবংয়ের বিজেপি প্রার্থী অমূল্য মাইতির দাবি, ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। তবে তৃণমূলের দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই অমূল্যকে প্রার্থী করে দেওয়ায় আদি বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভের কারণেই বোমাবাজি হয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী মানস ভুঁইয়ার দাবি, আদি এবং নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বের কারণেই বোমাবাজি হয়েছে।