শ্বেতা মুদালিয়ারএবার মেঘালয়ে ভোটে লড়ছেন এমন ৫০ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমক্র্য়াটিক রিফর্মের তরফে একটি রিপোর্টকে সামনে আনা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ শতাংশ প্রার্থী স্বীকার করে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। তবে একের জনের সম্পদের পরিমাণ দেখলেই হতবাক সাধারণ মানুষ। এককথায় বেশিরভাগই বড়লোক প্রার্থী।মোটামুটি দেখা যাচ্ছে প্রার্থীদের গড় সম্পদ প্রায় ৫.৯১ কোটি টাকা। এনপিপির প্রার্থীদের গড় সম্পদের পরিমাণ ১০.৬৮ কোটি। ৫৬জন বিজেপি প্রার্থীর গড় সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২.৭১ কোটি টাকা। জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীদের গড় সম্পদ ৪.৩৪ কোটি। তৃণমূলের ক্ষেত্রে ৪.৯৫ কোটি।তবে বড়লোকের নিরিখে এগিয়ে ন্যাশানাল পিপলস পার্টি। তাদের ৬০জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৩জনই কোটিপতি।এদিকে এডিআর সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে প্রার্থীদের সম্পদের বিষয়টি উল্লেখ করা রয়েছে। সেখানে প্রার্থীদের সম্পত্তি, তাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধামূলক মামলা রয়েছে কিনা কোন আদালতে সেই মামলা চলছে সেকথা উল্লেখ করা হয়। সব মিলিয়ে ৩৭৫জন প্রার্থীর হলফনামা যাচাই করে দেখা হয়েছে।এডিআর রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে জাতীয় কংগ্রেসের ৬০জন প্রার্থীর মধ্যে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এনপিপির ৫৭ প্রার্থীর মধ্যে ৬জন, বিজেপির ৬০জনের মধ্যে ১জনের, তৃণমূলের ৫৬জনের মধ্যে ৩জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। হলফনামায় এমনটাই বলা হয়েছে।রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫৬দন প্রার্থীর মধ্য়ে ১জন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কংগ্রেসর ৬০জনের মধ্যে ৪জন, এনপিপির ৫৭জনের মধ্যে ৪জন, বিজেপির ৬০জনের মধ্যে ১জনের বিরুদ্ধে সিরিয়াস ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।এদিকে মেতবা লিঙ্গোধ নামে এক ইউডিপি প্রার্থী জানিয়েছেন তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৬ কোটি। তারপরই রয়েছে ভিনসেন্ট পালা। তার সম্পদের পরিমাণ ১২৫ কোটি টাকা।তবে সম্পদে এগিয়ে থাকলেও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্য় বিশেষ এগিয়ে নেই কেউই। ৩৭৫জন প্রার্থীর মধ্যে ৮০জন ক্লাস ১২ পাস। ১২৮জন গ্র্যাজুয়েট। বেশিরভাগ প্রার্থীর বয়স ৪১-৫০ এর মধ্যে। ৭১-৮০ বছর বয়সী কিছু প্রার্থীও রয়েছে।সব মিলিয়ে ৩৬জন মহিল প্রার্থী রয়েছেন। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে ভোট। তার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে তার আগে এডিআর সামনে এসেছে। সেখানে সম্পদের বহর দেখে হতবাক অনেকেই। কীভাবে এত সম্পদ এল তা নিয়েও নানা চর্চা।