সামনে লোকসভা নির্বাচন। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের চারটি মূল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর দফতর। যার ফলে প্রার্থীদের প্রচারের খরচ বহন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় নির্বাচনী প্রচারের তহবিলের জন্য জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন গুজরাটের কংগ্রেস প্রার্থী গেনিবেন ঠাকুর। তিনি ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা স্থির করেছেন বলে জানা গিয়েছে। গুজরাটের বানাসকাঁথা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গত কয়েক সপ্তাহে তাঁর প্রচারের খরচ মেটাতে প্রতিদিন গড়ে ১.৫ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করছেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দরিদ্র পরিবার পিছু ১ জন মহিলাকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে, ভোট-প্রতিশ্রুতি রাহুলের
কংগ্রেস প্রার্থী জানান, তাঁর নির্বাচনী এলাকার জন সাধারণ বিভিন্নভাবে তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তিনি জানান, এক একটি জনসভা আয়োজনের জন্য প্রায় ২০ হাজার টাকা করে খরচ হয়। সেই জায়গায় তিনি প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ করে জনসভা করেন। ফলে তাতে প্রায় ১ থেকে ২ লক্ষ দৈনিক খরচ। ফলে এতো পরিমাণ অর্থের জন্য জন সাধারণের ওপরেই তাঁর ভরসা। তিনি জানান, অনলাইনে কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা এই তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করছেন। ন্যূনতম অনুদান ১১ টাকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
গুজরাট কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীশ দোশি জানান, কংগ্রেস আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ফলে প্রার্থীদের জন্য খরচ বহন করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা। তাই জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছেন কংগ্রেসের অনেক নেতা।
উল্লেখ্য, গুজরাটের এই আসনে লড়াই বেশ জমজমাট হতে চলেছে। এখানে বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলই মহিলা প্রার্থী করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। জানা গিয়েছে, খাদোসানে একটি সভা চলাকালীন একজন মহিলা ৫১ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে।
একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গেনিবেন ঠাকুর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য জন সাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাঁর প্রচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রচারে প্রতিদিন নগদ এবং অনলাইন উভয় মাধ্যমে ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রচারের তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে। এছাড়াও, আরও অনেক কংগ্রেস প্রার্থী এভাবেই আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।