
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
তারিখটা ১১ জুলাই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা শেষের আগেই গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছিলেন হারের কথা। নিজে জিতলেও এবার দায়িত্ব থেকে সরতে চাইলেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। এমনকী প্রকাশ্যেই এই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও ভাঙড়ের দায়িত্বে আরাবুল ইসলামই থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিধায়ক সওকত মোল্লা। নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকেও আরাবুল ইসলামের কথা উঠে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত আরাবুল ইসলামের গড় বলেই পরিচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। তাই দায় নিজের কাঁধে নিয়ে আরাবুল ইসলাম বললেন, এবার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাই।
কেন এমন মন্তব্য আরাবুলের? এদিকে পোলেরহাট দু’নম্বর পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে আরাবুলের উত্তর গাজিপুরের ঘরের বুথ ৯৫ নম্বর আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তাঁরই ভাই আজিজুল ইসলাম। এই পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি আসনেই হেরেছে তৃণমূল। হাতছাড়া হয়েছে জেলা পরিষদের একটি আসন। বাকি ৯টি পঞ্চায়েতেও তৃণমূল ভাল ফল করেনি। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা ৪৬টি আসন এখন ভরসা। এই ফলের পর অভিমান হয়েছে আরাবুলের। তাই এই হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে সওকত মোল্লার পাশে বসে আরাবুল বলেন, ‘ভাঙড়ে অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে খুশি হব। আমি হয়তো সকলের জন্য কাজ করতে পারিনি।’ এভাবেই দায়িত্ব থেকে সরতে চাইলেন তিনি।
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে দলের কর্মীদের উপরও ক্ষোভ রয়েছে আরাবুলের। সেই ক্ষোভও তিনি এদিন উগড়ে দিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, যেভাবে গণনা হয়েছে সেটা ভাবা যায় না। যাঁরা জিতেছে, যাঁরা হেরেছেন, যাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন, তাঁরা বাড়িতে শুয়ে আছেন। দল এটা চায়নি কখনও। বড় বড় কথা বলা যায়, কাজে কাউকে পাওয়া যায় না। ভাঙড়ে আমরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছি। আজকে যাঁরা জিতে চাঁদপানা মুখ করে এখানে এসে বসেছেন, আপনাদের ভাবা উচিত।’ যদিও অভিমানী আরাবুলের পাশে দাঁড়িয়ে বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘দলের নির্দেশে আরাবুল ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকে কনভেনর হয়েছেন। তাই তিনি ভাঙড়ের দায়িত্ব নিয়েই কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: এবার কেন্দ্রকে হিসেব দিয়ে চিঠি রাজ্যের, কেন্দ্রীয় বাহিনী বাবদ ৩৫০ কোটি খরচ চাইল
আর কী জানা যাচ্ছে? ফলাফল প্রকাশের দিন তাঁর চোখেমুখে ছিল হারের যন্ত্রণার অভিব্যক্তি। যে ভাষায় বিস্তর অভিমান ধরা পড়েছিল। তাই তো সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমার বুথে জিতেছি। কিন্তু বাকি বুথগুলিতে হারলাম। কোথাও ৫, কোথাও ৭, কোথাও ১০ ভোটে হেরেছি। আমাদের সাতজন প্রার্থী এমনই কম ব্যবধানে হেরেছেন। বাকি ৯টা জায়গায় জিতেছে আমরা।’ তবে একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দেখিয়ে সংবাদমাধ্যমে সওকত মোল্লা দাবি করেন, কার্গিল যুদ্ধের কায়দায় ভাঙড়ে ভোট করেছে আইএসএফ। যদি ফের ভোট হয়, ভাঙড়ের প্রতিটি আসন জয়ী হবে তৃণমূল কংগ্রেস।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports