রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকা নিয়ে মামলায় কমিশনকে ভর্ৎসনা করল আদালত। এই মামলা গ্রহণ করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিশনের আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতে আদালত কমিশনকে বিচারপতি বলেন, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। কিন্তু এত হিংসা হচ্ছে কেন? জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, তাহলে কি নির্বাচনে জেতাকে কেউ কেউ তাঁদের উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে মনে করেছেন? সে কারণেই কি এত হানাহানি?
গণনার দিন জঙ্গিপাড়ার ডিএনএ হাইস্কুলের পাশের রাস্তায় এক গুচ্ছ ব্যালট উদ্ধার হয়। সেই ব্যালট নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী। মামলায় বিডিও-কেও তলব করা হয়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে হাজির হন জাঙ্গিপাড়ার বিডিও।
(পড়তে পারেন। TMC MLA-এর বিরুদ্ধে ব্যালট ছেনতাইয়ের অভিযোগ, সাঁকরাইলের ১৫সহ একাধিক বুথে ফের ভোট)
গণনা কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় এই ব্যালট পেপার পড়ে থাকা নিয়ে বিচারপতি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ব্যালট পেপারগুলি তিনি প্রিসাইডিং অফিসারকে দিয়ে দিয়েছিলেন। তার পর আর তাঁর দায়িত্বে সেগুলি ছিল না। রাস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলিতে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছিল। বিচারপতি সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারের নাম ও ঠিকানা লিখে দিয়ে যেতে বলেন। তাঁর প্রশ্ন, সই করা ব্যালট পেপারগুলি কী ভাবে বাইরে এল? কোন কারচুপি করা হয়নি তো?
মামলাকারী মহম্মদ শাহিন শেখের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, ব্যালট পেপারগুলি ভুয়ো হতে পারে। ভুয়ো ব্যালটেই হয়তো ছাপ্পা ভোট পড়েছে।