গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটপর্ব মিটেছে। আজ ফলপ্রকাশ। তাই গণনা শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি জায়গায় শুরু হয়েছে এগিয়ে–পিছিয়ে যাওয়ার রসায়ন। এই পরিস্থিতিতে বিধাননগরে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত এগিয়ে যেতেই ঢোল, তাসা, পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
এখানে জয় যে একপ্রকার নিশ্চিত তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। বিধাননগরে অনেকটাই পাল্লা ভারী শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে। ফিরে এসে পেয়েছেন বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনের টিকিট। তাই বিষয়টি নিয়ে চর্চা ছিলই।
এখন বিধাননগরের ৪০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে ঢাকঢোল বাজিয়ে গণনাকেন্দ্রে হাজির তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। বিধাননগর কলেজের গণনাকেন্দ্রে মোট ১২টি হল। ৪১টি ওয়ার্ডের গণনার জন্য টেবিল ৫২টি। এই পুরনিগমের মোট ভোটার ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৪০ জন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিধাননগরের ভোট নিয়ে প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্ক ছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানকার আইনশৃঙ্খলা দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন পুলিশকর্তা জ্ঞানবন্ত সিং।
যত রাউন্ড গণনা হচ্ছে তত এগিয়ে চলেছেন কৃষ্ণা–সব্যসাচী। এছাড়া বাকি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীও এগিয়ে রয়েছেন বিধাননগরে। যদি এই ট্রেন্ড বজায় থাকে তাহলে পদ্মের ফলন ভালো হবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সেক্ষেত্রে বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এখানে বিরোধীদের কোনও ছাপ দেখা যাচ্ছে না।