ভারত কি সত্যিই ঘরের মাঠে খেলছে? নাকি বিদেশে কোথাও খেলছে? বিদেশে খেললেও তো ভারতের হয়ে দর্শকদের বেশি গলা ফাটাতে শোনা যায়। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের হাল দেখে সেটা মনে হতেই পারে। কারণ ভারত চাপে বেশি পড়তেই কার্যত নিশ্চুপ হয়ে গেল আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। যা নিয়ে তুুমুল হতাশা প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ঠিক এই কারণেই ইডেন গার্ডেন্স, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়াম বা চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের মতো মাঠে খেলা দেওয়া উচিত। যেখানে দর্শকরা তখন দলের জন্য আরও বেশি করে গলা ফাটাবেন, যখন দল চাপে থাকবে। তাতে বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি হবে। আর বোলিংয়ের সময় ঠিক সেটাই যাতে করেন আমদাবাদের দর্শকরা, সেই আর্জি জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। প্রতিটি বলের সময় দর্শকরা যেন গর্জন করেন।
আরও পড়ুন: IND vs AUS WC 2023 Final: কামিন্সের বাউন্সের হদিশ পেলেন না কোহলি, লোকেশ ফিরলেন স্টার্কের রিভার্স সুইংয়ে- ভিডিয়ো
রবিবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল বলেন, ‘স্টেডিয়ামে থাকা প্রত্যেক ভারতীয় সমর্থকের কাছে আর্জি - আমাদের বোলাররা যখন প্রতিটি বল করবে, তখন যাতে স্টেডিয়ামে গর্জন ওঠে, সেটা নিশ্চিত করুন। এই দলই ১০টি নিখুঁত ম্যাচ খেলেছে। ওদের একটা অবিস্মরণীয় পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হোক।’
সুনীলের সেই আর্জির মধ্যেই আমদাবাদের দর্শকদের নিয়ে হতাশাপ্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, ‘দর্শকরা যখন এরকমভাবে মৃতপ্রায় হয়ে আছেন, তখন হোম অ্যাডভান্টেজ দিয়ে কী হবে? ওঁরা আদতে অজিদের সমর্থন করছেন, আমাদের নয়। এক ঝটকায় এক লাখ দর্শককে চুপ করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কামিন্স (অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স) যেটা বলেছিলেন, সেটা ঠিক বলেছিলেন।’ উল্লেখ্য, ফাইনালের আগে অজি অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘অবশ্যই দর্শকরা একদিকেই ঝুঁকে থাকবেন। কিন্তু বড় সংখ্যক দর্শক স্রেফ পুরো চুপ করে যাচ্ছেন - খেলার ক্ষেত্রে সেটার থেকে বেশি আর কিছু তৃপ্তিদায়ক হতে পারে না।
একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘আমি দুঃখিত। কিন্তু দর্শকদের আরও ভালো হওয়া উচিত। আমাদের দল ছড়ি ঘোরাক বা ছড়ি না ঘোরাক, সবসময় দলের পাশে থাকা উচিত। ওঁদের সবসময় সমর্থন করতে হবে। আমার মনে আছে, অ্যাশেজের সময় যখন ব্রড এবং অ্যান্ডারসন যখন ভালো করছিলেন না এবং উইকেট পাচ্ছিলেন না, তখনও ওঁদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন ইংরেজ দর্শকরা।’
অনেকের বক্তব্য, আমদাবাদের দর্শকদের সমর্থনের নিরিখে ইডেন, ওয়াংখেড়ে, চেন্নাইয়ের মতো স্টেডিয়াম অনেক বেশি থাকবে। এক নেটিজেন বলেন, ‘চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, কলকাতায় সবথেকে ভালো দর্শক সমর্থন পাওয়া যায়। শুধুমাত্র বড় স্টেডিয়াম হলেই বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজন করা যায়।’
আরও পড়ুন: Kohli's records in World Cup 2023: প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইতিহাস বিরাটের, যোগ স্মিথদের ক্লাবে, তবে ছোঁয়া হল না হিলিকে