স্বাভাবসুলভ আগ্রাসনে মারকো জানসেন উত্তপ্ত বাক্যবাণ ছুঁড়ে দেন মহম্মদ রিজওয়ানের দিকে। তবে রিজওয়ান এভাবে প্রত্যুত্তর দেবেন, সেটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার। ক্রিকেটের মাঠে ব্যাটার-বোলারের খটাখটি দেখা যায় হামেশাই। তবে এমন বিসদৃশ লড়াই আগে কখনও চোখে পড়েছে কিনা সন্দেহ।
শুক্রবার চেন্নাইয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে পাকিস্তান শুরুতে ব্যাট করতে নামে। মাত্র ৩৮ রানের মধ্যেই পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবদুল্লা শফিক ও ইমাম উল হককে সাজঘরে ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২টি উইকেটই তুলে নেন মারকো জানসেন।
নতুন বলে যখন বাইশগজে আগুন ঝরাচ্ছেন জানসেন, ঠিক তখন ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মহম্মদ রিজওয়ান। ৬.৩ ওভারে ইমাম আউট হওয়ার পরে ব্যাট করতে নামেন রিজওয়ান। প্রথম বলেই তাঁর ক্যাচ মিস করেন বোলার জানসেন। ৬.৪ ওভারে নিজের বলেই রিজওয়ানের তুলনায় সহজ ক্যাচ মিস করেন মারকো। রিজওয়ান ব্যক্তিগত শূন্য রানের মাথায় জীবনদান পেয়ে যান।
ঠিক তার পরের বলেই, অর্থাৎ, ৬.৫ ওভারে সজোরে ব্যাট চালান রিজওয়ান। তবে বল ঠিকমতো ব্যাটে কানেক্ট হয়নি। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় থার্ডম্যান বাউন্ডারির বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও পেসারই ব্যাটসম্যানের উদ্দেশ্যে আগ্রাসন জাহির করবেন। ব্যতিক্রমী নন জানসেন। তিনি রিজওয়ানের কাছে গিয়ে স্লেজিং করতে ছাড়েননি।
জবাবে রিজওয়ান মারকোর উদ্দেশ্যে নিজের ভালোবাসা জাহির করেন। তিনি দু'হাত বাড়িয়ে বড় ভাইয়ের মতো মারকোকে আলিঙ্গনের আহ্বান জানান। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি কথা কাটাকাটির পর্যায়ে পৌঁছয়নি রিজওয়ানের এমন আচরণের জন্যই। রিজওয়ান শেষমেশ ২৭ বলে ৩১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। কোয়েটজির বলে ডি'ককের দস্তানায় ধরা পড়ার আগে রিজওয়ান ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
পাকিস্তান শেষমেশ ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাবর আজম ও সউদ শাকিল। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন শাদব খান। বাবর ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন। শাকিল ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫২ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়েন। শাদব ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তাবরেজ শামসি ৪টি ও মারকো জানসেন ৩টি উইকেট দখল করেন।