Shoaib Malik on Rahul Dravid- পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ভারতীয় দলের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে একটি গল্প শেয়ার করেছেন। দ্রাবিড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মজার ঘটনা বর্ণনা করেছেন শোয়েব মালিক। এই গল্প শোনার পর আপনিও দ্রাবিড়ের ভক্ত হয়ে যাবেন। এই গল্পে বোঝা যাবে দ্রাবিড় কী অসাধারণ মানুষ। ভারতীয় দলের কোচ কতটা ডাউন টু আর্থ অর্থাৎ মাটির মানুষ, সেটি এই গল্পের মধ্যে দিয়েই প্রকাশ পায়। ফ্লাইটে দুই ঘণ্টা ঘুম থেকে ওঠার জন্য কীভাবে তিনি অপেক্ষা করেছিলেন তা শোয়েব মালিক জানিয়েছিলেন। দ্রাবিড় জানতে চেয়েছিলেন এই কিংবদন্তি পাকিস্তানি অলরাউন্ডার কীভাবে ক্রমাগত প্রত্যাবর্তন করছিলেন।
ভারতীয় দল বর্তমানে ২০২৩ বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ছয় ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই জিতেছেন তারা। এখনও কোনও ম্যাচে হারেনি দলটি। পাকিস্তানের এ স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের প্রশংসা করেছিলেন শোয়েব মালিক। ভারতীয় দলের সাফল্যে তিনি কীভাবে অবদান রেখেছেন তা জানিয়েছেন। শোয়েব সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন যখন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়।
শোয়েব মালিক বলেন, ‘আমি পাকিস্তান থেকে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছিলাম। আমার ফ্লাইটে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। একই ফ্লাইটে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলও যাচ্ছিল। সেই সময় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। আমি ঘুমাচ্ছিলাম। তিনিই একমাত্র বিজনেস ক্লাসের টিকিট পেয়েছিলেন। দলের বাকিরা ইকোনমিতে যাচ্ছিলেন। তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বলে তিনি আমার ঘুম থেকে উঠার জন্য দুই ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ‘আপনি অনেক প্রত্যাবর্তন করেছেন, তাহলে আপনাকে কী অনুপ্রাণিত করে?’ তিনি বলেন, ‘আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচিং করছি, তাই আমি তাদের বলতে চাই এর পিছনে চিন্তাভাবনাটা কী।’
শোয়েব মালিক আরও বলেন, ‘তাই আমি বলতে চাই তার কোনও অহংকার নেই। তিনি আপনার কাছ থেকে শিখতে চান। তার ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতন এসেছে। তাই তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল এবং আমি তাদের বলেছিলাম। আমি এটা খুব পছন্দ করি। শেখা কখনও থেমে থাকে না এবং দেখুন রাহুল দ্রাবিড়ের অধীনে ভারতীয় দল আজ কোথায় পৌঁছেছে।’
বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ছয় রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়েছিল। তানজিদ হাসান শূন্য রান করে আউট হন। এরপরে নাজমুল হোসেন শান্ত তিন বলে চার রান করে আউট হন। মুশফিকুর রহিম আট বলে পাঁচ রান করে আউট হন। তবে লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ দলের হাল ধরেন এবং রানকে ১০২ নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২৮ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলল ১২১ রান। লিটন দাস মাত্র পাঁচ রানের জন্য অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করতে পারেন না।