দুবাইয়ে টসে জিতলে প্রথমে ব্যাটিং নেবেন? নাকি প্রথমে বোলিং করবেন? তা নিয়ে রীতিমতো দোটানায় ছিলেন বলে জানালেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শেষপর্যন্ত দোটানোর মধ্যে থেকে তাঁকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয়নি। কারণ টসে জেতেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তিনি প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আর অজিদের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রোহিত বলেন, ‘আমি দুটোর (প্রথমে ব্যাটিং এবং প্রথমে বোলিং) জন্যই প্রস্তুত ছিলাম। প্রতিবার পিচ আলাদা আচরণ করেছে। যখন আপনি দোটানায় থাকেন, তখন টস হেরে যাওয়াটাই ভালো। আমরা এখানে (দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম) তিনটি ম্যাচ খেলেছি। পিচের চরিত্র পরিবর্তন হতে থাকছে। প্রতিটি পিচ আলাদা আচরণ করছে।’
১৯ নভেম্বরের আতঙ্ক তাড়া করছে রোহিতদের?
আর রোহিত সেই মন্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠছে যে ভারতীয় দলের মাথায় কি এখনও ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর (বিশ্বকাপের ফাইনাল) ঘোরাফেরা করছে? ট্র্যাভিস হেড আতঙ্ক তাড়া করছে? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে সেই বিশ্বকাপে রোহিতদের একটা সিদ্ধান্ত ভারতের বিপদ ডেকে এনেছিল বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়। এমনকী মহম্মদ কাইফ তো সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন যে আইসিসি আয়োজক হলেও বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে পিচের ‘কাঁটাছেড়া’ করেছিল ভারতীয় দল।
আরও পড়ুন: থাপ্পড়ে ভয় পাই না, নক-আউটে হলুদ জার্সিকে ভয় লাগে! অজিদের হারানো রায়নাও আতঙ্কে
সংবাদমাধ্যম লাল্লানটপে কাইফ বলেছিলেন, ‘আমি ওখানে (আমদাবাদ) তিনদিন ছিলাম। ফাইনালের তিনদিন আগে থেকে রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় প্রতিদিন পিচ পরিদর্শন করত। প্রতিদিন পিচের পাশে একদিন দাঁড়িয়ে থাকত। আমি পিচের রং পালটাতে দেখেছি। পিচে কোনও জল দেওযা হয়নি। পিচে একটুও ঘাস ছিল না। অস্ট্রেলিয়াকে এক ঢিমেগতির পিচে খেলাতে চেয়েছিল ভারত। এটাই সত্যি। লোকে সেটা বিশ্বাস করুক বা না করুক।’
আরও পড়ুন: CT 2025: ভাই হেডকে কেউ আউট করে দাও, ভারতীয় দলের কাছে আকুতি প্রাক্তনীর
ODI-তে টানা ১৪ টস হেরে গেল ভারত!
আর কাইফ যা বলেছেন, সেটার নিরিখে বলতে গেলে ভারত যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। একটি মহলের মতে, এবার হয়তো সেই ভুল সিদ্ধান্ত নিতে চাননি রোহিত। যিনি একটানা টস হেরে চলেছেন। সেমিফাইনালে আজ যে টস হারলেন, সেটার ফলে একটানা ১৪টি একদিনের ম্যাচে ভারতের সঙ্গ দেয়নি কয়েন ভাগ্য। ২০২৩ সালের একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে টানা ১৪টি টস হেরেছে ভারত।
সেমিফাইনালে কারা কারা খেলছেন?
ভারতের প্রথম একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, কুলদীপ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, কুপার কনলি, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস ল্যাবুশান, জোশ ইংলিস, অ্যালেক্স ক্যারি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বেন ডার্শিস, নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা এবং তনবীর সাংঘা।