ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার নভজ্যোত সিং সিধু মনে করেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাটার বিরাট কোহলির প্রয়োজন রয়েছে। এবং সেই তিনি বিরাটকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন যে তিনি লং ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে চান। তবে নভজ্যোত সিং সিধুর মতে, বিরাট কোহলির অবসরের সিদ্ধান্তের সময়টা সঠিক নয়। তিনি এক ভিডিয়ো বার্তায় (যা X-এ পোস্ট করা হয়েছে) বলেন, ‘বিরাট কোহলির এই সিদ্ধান্ত — যে তিনি অবসর নিতে চান — পুরো ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার উদ্দেশ্য ঠিক আছে, তার চিন্তাভাবনা মহৎ — ‘পুরাতনদের সরে গিয়ে নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে।’ কিন্তু সময় ও প্রেক্ষাপট সঠিক নয়, কারণ এখানে ভারতের গর্ব ও সম্মানের প্রশ্ন জড়িত।’
আরও পড়ুন … বার্সা নাকি মাদ্রিদ, La Liga 2024-25 চ্যাম্পিয়ন হবে কারা? ভারতে কখন, কীভাবে দেখবেন El Clasico?
সিধু আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি সফরে যাচ্ছি যা বিশ্বের যে কোনও টেস্ট-খেলুড়ে দেশের জন্যই এক কঠিন পরীক্ষার মতো। আমি কেন বলছি যে বিরাট কোহলি আমাদের ‘আলোর বর্মধারী যোদ্ধা’ হতে পারেন? কারণ তার রয়েছে প্রচুর অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে রোহিত শর্মার বিদায়ের পর। আপনি তো ইংল্যান্ডে এক অভিজ্ঞতাবিহীন দল পাঠাতে পারেন না।’
তিনি কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর-এর উদাহরণও দেন, যিনি ১৯৮৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে জ্বরে ভুগেও খেলেন। সিধু বলেন, ‘১৯৮৭ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ, যেটি ছিল আমার প্রথম টুর্নামেন্ট, সুনীল গাভাসকর উচ্চ জ্বরে ভুগছিলেন। অধিনায়ক কপিল দেব তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি খেলতে পারবে?’ গাভাসকরের উত্তর ছিল, ‘স্কিপ, ৫০-৫০।’ তখন কপিল দেব হাসিমুখে বললেন, ‘সুনীল গাভাসকর যদি ৫০ শতাংশ ফিটও থাকেন, তবুও তিনি বিশ্বের অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের ১০০ শতাংশ ফিটনেসের চেয়ে ভালো।’ একই কথা বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।’
আরও পড়ুন … কামিন্স-হেডরা কি IPL 2025 খেলতে ফিরবে? ভারত-পাক বর্তমান পরিস্থিতির পরে ছবিটা কী?
নভজ্যোত সিং সিধু আরও বলেন, ‘আগামী ছয় থেকে সাত মাসের জন্য কোহলি হওয়া উচিত ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।’ যদি বিরাট কোহলি সত্যিই অবসর নেন, তাহলে এটি হবে ১৪ বছরের এক মহিমান্বিত টেস্ট কেরিয়ারের সমাপ্তি, যেখানে তিনি ১২৩টি টেস্টে ৯২৩০ রান করেছেন ৪৬.৮৫ গড় এবং করেছেন ৩০টি সেঞ্চুরি। তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কও, ৬৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৪০টিতে জয় পেয়েছেন।